Africa: আফ্রিকায় বাঙালির বাজিমাৎ! ‘গরম ভাতে ঘি’ খাওয়াও আজ শিখে গিয়েছেন মাসাইমারার আদিবাসীরা
Kolkata: ঠিক যেমন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শঙ্করকে সক্কলে চেনেন, তেমনই মাসাইমারার জঙ্গলে ঢুকে পড়েছেন রাজা ও তাঁর সঙ্গীরা। তবে বিষয়টি নজর এড়ায়নি সেদেশের সরকারের। তাই প্রথমবার দেশের বাইরের কাউকে পর্যটনের অফিসিয়াল পার্টনারের মর্যাদা দিল কেনিয়া সরকার।
কলকাতা: এক বাঙালির কৃতিত্বকে সম্মান জানাতে সব দেশের রাষ্ট্রদূতরা এক ছাদের নিচে। কেন বলুন তো? কী এমন করেছেন মধ্য বয়সী এই বাঙালি? আসলে তাঁর কাজের বর্ণনা জানলে কুর্নিশ জানাবেন আপনিও।
রাজা দাসগুপ্ত। পেশায় তিনি পর্যটন বিশেষজ্ঞ। এই বাঙালি ভদ্রলোক মাসাইমারার জঙ্গলে বিখ্যাত মাসাই উপজাতিদের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি করেছেন। ভারতীয়দের রান্না শেখানো। এখন তো সেখানকার আদিবাসীরা বাঙালিদের অতি পছন্দের ‘গরম ভাতে ঘি’ খাওয়াও শিখে গিয়েছে। তাঁদের নিয়ে দুর্গাপুজো করা থেকে শুরু করে সব-সবটা শিখিয়েছেন। শুধু তাই নয়, করোনার সময়ে যখন গৃহবন্দি গোটা জগৎ, সেই সময় তাঁদের পাশে ছিলেন রাজা।
ঠিক যেমন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শঙ্করকে সক্কলে চেনেন, তেমনই মাসাইমারার জঙ্গলে ঢুকে পড়েছেন রাজা ও তাঁর সঙ্গীরা। তবে বিষয়টি নজর এড়ায়নি সেদেশের সরকারের। তাই প্রথমবার দেশের বাইরের কাউকে পর্যটনের অফিসিয়াল পার্টনারের মর্যাদা দিল কেনিয়া সরকার। তার সম্মান,অনুমতির শংসাপত্র তুলে দিতেই এত সব। বিশ বছর একটানা কাজের পর। কোনও ভারতীয়,সর্বোপরি কোনও বাঙালির মুকুটে অনন্য পালক। এ প্রসঙ্গে কনসাল জেনারেল প্রণয় পোদ্দার বলেন, “রাজা যে ধরনের কাজ করছেন কেনিয়ার জন্য আমি স্যালুট করছি। ওনার পরিচিতি কেনিয়াতে আছে।”