AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Boris Visits India : ‘ভারত সফরে দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত হবে’, আশাবাদী জনসন, মোদীর সঙ্গে আলোচনা কী কী নিয়ে?

Boris Visits India : বৃহস্পতিবার দুই দিনের ভারত সফরে আসছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। গুজরাট দিয়ে তাঁর এই সফর শুরু হওয়ার কথা। বরিসের আশা, এই সফরের ফলে ভারতের সাথে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত হবে

Boris Visits India : ‘ভারত সফরে দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত হবে’, আশাবাদী জনসন, মোদীর সঙ্গে আলোচনা কী কী নিয়ে?
ছবি সৌজন্যে : PTI
| Edited By: | Updated on: Apr 20, 2022 | 11:58 PM
Share

লন্ডন : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বুধবার সেদেশের সংসদে (হাউজ অফ কমনস) বলেন যে তাঁর দুই দিনের ভারত সফরের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুই দিনের ভারত সফরে আসছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। গুজরাট দিয়ে তাঁর এই সফর শুরু হওয়ার কথা। বরিসের আশা, এই সফরের ফলে ভারতের সাথে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত হবে এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যেও সম্পর্ককে আরও গভীর হবে। এদিকে আগামী বছর ব্রিটেন জি৭ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করতে চলেছে। সেখানে ভারতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তার আগে এই ভারত সফর বেশ তাত্পর্যপূর্ণ বলে বুঝিয়ে দেন জনসন।

এদিন ব্রিটিশ সংসদে ‘প্রধানমন্ত্রী সাপ্তাহিক প্রশ্নে’র জবাব দিতে গিয়ে বরিস জনসন আরও বলেন, ‘আমি দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করব। তাছাড়া যুক্তরাজ্যে বিনিয়োগকারী ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও দেখা করব পাশাপাশি ভারতে ব্রিটিশ বিনিয়োগও পরিদর্শন করব।’ এদিকে বরিস জনসন এবং নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও উত্থাপিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আমেরিকার মতোই ব্রিটেনও ইউক্রেন যুদ্ধের উপর কড়া নজর রেখে চলেছে। বরিস জনসন নিজে ঝটিকা সফরে কিয়েভ গিয়েছিলেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করতে। তবে আমেরিকার মতো ভারতের উপর ‘জোর খাটানো’ হবে না বলে আগেই জানানো হয়েছিল ডাউনিং স্ট্রিটের তরফে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে জ্বালানি কেনা এবং রাষ্ট্রসংঘে ভারতের অবস্থান নিয়ে ‘সমালোচনা’ করা হয়েছিল। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ভারত নিজেদের স্বাধীন অবস্থানে অনড় থেকেছে এবং মার্কিন চাপে প্রভাবিত না হয়ে নিজেদের স্বার্থে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই আবহে ব্রিটেনের তরফে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রসংঘে ভারতের অবস্থান বা তেল কেনা নিয়ে ব্রিটেন কোনও ‘লেকচার’ দেবে না। ডাউনিং স্ট্রিটের মুখপাত্র জনসনের ভারত সফর প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই সফর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উপর ফোকাস করে নয়। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। তবে এই সফর বহুদিন আগে থেকে পরিকল্পিত। এবং ভারত আমাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশীদার। বাণিজ্য, বিনিয়োগ, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা এবং স্বচ্ছ্ব শক্তি নিয়ে আমাদের অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী এই সফরে যেতে চান। আমরা সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। পাশাপাশি আশা করা হচ্ছে যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধও আলোচনার এজেন্ডায় থাকবে।’

আরও পড়ুন : Russia-Ukraine War : ‘আমরা অপেক্ষা করছি… বল এখন ইউক্রেনের কোর্টে’, যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ কী?