Russia-Ukraine War : ‘আমরা অপেক্ষা করছি… বল এখন ইউক্রেনের কোর্টে’, যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ কী?
Russia-Ukraine War : ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রায় দুই মাস পূর্ণ হতে চলল। এই আবহে এবার দ্বিতীয় দফায় ‘সামরিক অভিযানে’র ঘোষণা করেছে রাশিয়া। পাশাপাশি রাশিয়ার তরফে ক্রেমলিনে মুখপাত্র ডিমিত্রি পেসকোভ মন্তব্য করলেন, "শান্তি আলোচনা নিয়ে বল এখন ইউক্রেনের কোর্টে। আমরা অপেক্ষা করছি।"
কিয়েভ : ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রায় দুই মাস পূর্ণ হতে চলল। তবে এখনও এই যুদ্ধ থামার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি ক্রেমলিনের তরফে। আন্তর্জাতিক মহল ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশাসনের উপর চাপ বাড়িয়ে চললেও নিজেদের অবস্থানে অনড় রাশিয়া। এই আবহে এবার দ্বিতীয় দফায় ‘সামরিক অভিযানে’র ঘোষণা করেছে রাশিয়া। পাশাপাশি রাশিয়ার তরফে ক্রেমলিনে মুখপাত্র ডিমিত্রি পেসকোভ মন্তব্য করলেন, “শান্তি আলোচনা নিয়ে বল এখন ইউক্রেনের কোর্টে। আমরা অপেক্ষা করছি।” ক্রেমলিন বুধবার জানিয়েছে, শান্তি আলোচনার অংশ হিসাবে তারা তাদের দাবি সম্মিলিত একটি খসড়া নথি কিয়েভকে দিয়েছে। রাশিয়ার দাবি, তাতে স্পষ্ট ভাবে তারা বুঝিয়ে দিয়েছে যে ইউক্রেনের থেকে তারা কী চায় এবং কী করলে এই আগ্রাসন বন্ধ হবে।
তবে ক্রেমলিনের তরফে ঠিক কী কী দাবি জানানো হয়েছে, সেই সম্পর্কে বিস্তারিক কোনও কিছু বলেননি ডিমিত্রি পেসকোভ। উলটে তিনি এদিন ইউক্রেনকে তোপ দেগে দাবি করেন, কিয়েভ বরাবর আসল ইস্যু থেকে সরে যাচ্ছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, পূর্বের চুক্তি থেকেও সরে এসেছে ইউক্রেন। পেসকোভ বলেন, ‘ইউক্রেনীয়রা আলোচনা প্রক্রিয়াকে দ্রুত শেষ করার ক্ষেত্রে কোনও আগ্রহ বা প্রবণতা দেখাচ্ছে না।’
এদিকে এর আগে ইস্তানবুলে গত মাসে ইউক্রেন নিজেরা একটি খসড়া নথি রাশিয়ার হাতে তুলে দিয়েছিল। তবে ইস্তানবুলের পর থেকে দুই পক্ষের কতবার বৈঠক হয়েছে বা কতটা ধারাবাহিকতার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। এই আবহে পূর্ব ইউক্রেনে নতুন করে আগ্রাসন শুরু করেছে রাশিয়া। পশ্চিম ইউক্রেনেও এবার ধারাবাহিক ভাবে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। পাশাপাশি মারিউপোলে রুশ আগ্রাসন অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে। রাশিয়া এর আগে একবার দাবি করে যে তারা মারিউপোল দখল করে নিয়েছে। তবে এখনও সেখানে সংঘর্ষ জারি আছে বলে জানা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা সূত্রে। এর জেরে উদ্বাস্তু সমস্যা আরও বাড়ছে ইউক্রেনের। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধের আগে ইউক্রেনের মোট জনসংখ্যা ছিল ৪৪ মিলিয়ন। তবে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিগত প্রায় দুই মাসে প্রায় ৭ মিলিয়ন মানুষ বাড়ি ছাড়া বা দেশ ছাড়া হয়েছেন। আরও অন্তত ১৩ মিলিয়ন ইউক্রেনীয় যুদ্ধ বিধ্বস্ত এলাকায় আটকা পড়ে আছেন বলে অনুমান করছে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন।