ভারত বিরোধিতার চরম মাশুল? ট্রুডোকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চান না দলের সাংসদরাই, বেঁধে দিলেন সময়

Justin Trudeau: লিবেরাল পার্টির ২৪ জন সাংসদ প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে জাস্টিন ট্রুডোর ইস্তফার দাবির সপক্ষে সই করেছেন। বুধবারের বৈঠকে সাংসদরা একাধিক নথিও পেশ করেছেন যেখানে ট্রুডোর ইস্তফার দাবি যুক্তিযুক্ত বলেই ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

ভারত বিরোধিতার চরম মাশুল? ট্রুডোকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চান না দলের সাংসদরাই, বেঁধে দিলেন সময়
ভারত বিরোধিতারই মাশুল দেবে ট্রুডো?Image Credit source: Getty Image
Follow Us:
| Updated on: Oct 24, 2024 | 3:41 PM

ওটায়া: গদি সঙ্কটে ট্রুডো। দলের সাংসদরাই তাঁর ইস্তফার দাবিতে সরব। কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁরা আর জাস্টিন ট্রুডোকে দেখতে চান না। জানা গিয়েছে, লিবেরাল পার্টির একাধিক সাংসদ প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ইস্তফার দাবি করেছেন। আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা।

সূত্রের খবর, ট্রুডোর সামগ্রিক অবস্থান, বিভিন্ন সিদ্ধান্ত এবং হাউস অব কমন্সে তাঁর রাখা বক্তব্য ঘিরে ক্ষুব্ধ দলের সাংসদরাই। বন্ধ দরজা মিটিংয়ে লিবেরাল পার্টির সাংসদরা প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বুধবারের বৈঠকের পরই তাঁরা প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোকে সময় বেঁধে দিয়েছেন। আগামী ২৮ অক্টোবরের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন। তবে ওই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ট্রুডো যদি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা না দেন, তবে দলের তরফে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, লিবেরাল পার্টির ২৪ জন সাংসদ প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে জাস্টিন ট্রুডোর ইস্তফার দাবির সপক্ষে সই করেছেন। বুধবারের বৈঠকে সাংসদরা একাধিক নথিও পেশ করেছেন যেখানে ট্রুডোর ইস্তফার দাবি যুক্তিযুক্ত বলেই ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে ২৪ জন সাংসদ আগামী নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ট্রুডোর ইস্তফার দাবি জানিয়েছেন। তবে বেশ কয়েকজন সাংসদ ট্রুডোর পাশেও দাঁড়িয়েছেন।

কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রুডোর বিরুদ্ধে আগেই ক্ষোভ জমেছিল দলের সাংসদদের মধ্যে। সম্প্রতি  খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার ইস্যু নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সরাসরি ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়েছেন, তাতে ক্ষোভের আগুনে ঘৃণাহুতি হয়েছে।

গত বছরই সংসদে দাঁড়িয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, খালিস্তানি জঙ্গি নিজ্জরের হত্যায় ভারতের সক্রিয় ভূমিকা থাকতে পারে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। এরপরও ট্রুডো থেমে থাকেননি। সম্প্রতিই কানাডা সরকার নিজ্জরের মৃত্যুর তদন্তে ভারতের হাই কমিশনার ও কূটনীতিকদের সন্দেহের তালিকায় যোগ করে। এরপরই দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়।