ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান ছাড়তেই চিন-আফগানের নয়া সমীকরণ

China-Afghan: চিনের আসল উদ্বেগ হল তার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রকল্পের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান ছাড়তেই চিন-আফগানের নয়া সমীকরণ
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 08, 2021 | 8:24 AM

নয়া দিল্লি: ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান ছাড়তেই তালিবানদের কাছে কার্যত আত্মসমর্পণ করেছে আফগান সেনা। এদিকে আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা ও ন্যাটো সেনা প্রত্যাহারের পর উদ্ভুত পরিস্থিতিতে চিনের উদ্বেগ বেড়েছে। এখন আফগানিস্তানের দিকে শ্যেন দৃষ্টি রেখেছে জিনপিং সরকার।

ব্রিটিশ পত্রিকা ফিনান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিনের প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যে তালিবানদের সঙ্গে গোপন আলোচনা করেছে। তালিবানিদের সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে সে সম্পর্কে কোনও খবরাখবর অবশ্য মেলেনি। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চিন এই আলোচনার ভিত্তিতেই তার আফগান কৌশল ও রণনীতিকে চূড়ান্ত রূপ দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

চিনের কৌশল হ’ল, আফগানিস্তানে ক্রমবর্ধমান পরিকাঠামো পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে তার আঞ্চলিক প্রভাব বাড়ানো। তালিবানদের সহায়তাতেই এই কাজ করতে চায় চিন। এর জন্য পাকিস্তানের মাধ্যমে চিন আফগানিস্তানে বিনিয়োগ করতেও প্রস্তুত বলে খবর। পাকিস্তানের আবেদনের প্রেক্ষিতে এখন চিন তালিবানদের পুরোপুরি সমর্থন করবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এর জন্য চিনের শর্ত হল, তালিবানদের আফগানিস্তানের সীমানার সঙ্গে যুক্ত করে জিনজিয়াং প্রদেশে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। এবং উইঘুর সন্ত্রাসীদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।

বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, আফগানিস্তানে ভারতের প্রভাবকে কম করার জন্য এই পন্থা। পাকিস্তানের মাধ্যমে তালিবানদের পরিকাঠামো পুনর্নির্মাণের নামে অর্থ সরবরাহ করছে চিন।

চিনের আসল উদ্বেগ হল তার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রকল্পের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এর জন্য আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি আফগানিস্তানে স্থিতিশীল হয়, তবেই চিনের তৈরি উৎপাদনের রফতানি ইউরেশিয়ায় সহজ ভাবে পৌঁছনো সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন: ১৬ মাসের অতিমারিতে এক দিনে এত মৃত্যু কখনও দেখেনি বাংলাদেশ 

সাধারণত চিন কোনও দেশে তাঁর সেনা মোতায়েনের বিরোধী। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ভারতকে ঠেকাতে চিন আফগানিস্তানে সেনাবাহিনী পাঠাতে প্রস্তুত। এর জন্য তারা এখন জাতিসংঘের প্রস্তাবের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা বাহিনীর অংশ হিসাবে আফগানিস্তানে মোতায়েন করতে প্রায় উদগ্রীব। তবে বিশ্ব কল্যাণের ভূমিকায় ভারতের অবদান ও ভারতের প্রতি বিশ্বের অটুট আস্থা অর্জন করতে চিনকে এখন অনেক পথ অতিক্রম করতে হবে।