মহাশূন্যের গোলকধাঁধায় ইতি, ভারত ঘেঁষে আছড়ে পড়ল চিনের রকেট
গত ২৯ এপ্রিল চিনের ‘হেভেনলি প্যালেস’ স্পেস স্টেশন থেকে উৎক্ষেপিত হয়েছিল লং মার্চ ফাইভ বি (Long March 5B) রকেটটি।
মলদ্বীপ: করোনা ছড়ানোর দায় চিনের ওপর বর্তিয়েছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এরইমধ্যে আবার নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে শি জিনপিংয়ের ‘মহাশক্তিশালী’ রকেট (Long March 5B)। যা অনিয়ন্ত্রিতভাবে মহাকাশ থেকে ধেয়ে আসছিল পৃথিবীর দিকে। কবে কখন তা পৃথিবীর উপর আছড়ে পড়বে তা কেউই সঠিক করে বলতে পারছিলেন না। কিন্তু বৃহস্পতিবারই মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছিল তা পৃথিবারী দিকে ধেয়ে আসছে। আর রবিবার পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ল চিনের লং মার্চ ৫বি। ভারত ঘেঁষে মলদ্বীপে ভারত মহাসাগরে ভেঙে পড়ে চিনের রকেটটি।
গত ২৯ এপ্রিল চিনের ‘হেভেনলি প্যালেস’ স্পেস স্টেশন থেকে উৎক্ষেপিত হয়েছিল লং মার্চ ফাইভ বি (Long March 5B) রকেটটি। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পর থেকেই উদ্বেগ বাড়ছিল রকেটটিকে নিয়ে। কারণ মাধ্যাকর্ষণ শক্তির জন্য দ্রুত পৃথিবী সেটিকে নিজের বুকে টেনে নিচ্ছিল। তবে স্বস্তির খবর একটাই ছিল যে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছিল, বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করা মাত্রই ভস্মীভূত হয়ে যাবে রকেটটি। সামান্য অংশবিশেষই আছড়ে পড়বে। সেই পূর্বাভাসই মিলেছে। তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছিল, রকেটটি ভেঙে পড়বে তুর্কমেনিস্তানের কাছে। কিন্তু তার পরিবর্তে সেটি ভেঙে পড়েছে মলদ্বীপে।
তবে যেভাবে চিন্তা বাড়াচ্ছিল চিনা রকেটটি, তার অবসানে কিছুটা স্বস্তিই মিলল। কারণ ১৮ টনের রকেট কোথায় ভেঙে পড়বে, তা নিয়ে প্রবল জল্পনা শুরু হয়েছিল। দেখা দিয়েছিল আশঙ্কাও। তবে রবিবার সকালেই স্পেসট্র্যাক জানিয়ে দেয় রকেটটি ভারত মহাসাগরে ভেঙে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনে স্বত্বের লড়াই, আমেরিকার সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ জার্মানি