Jinping in Russia: মস্কোয় পা রাখলেন জিনপিং, নিষ্পত্তি আসবে ইউক্রেন যুদ্ধের?
Xi Jinping in Moscow: তিনদিনের সফরে সোমবার রাশিয়া পৌঁছলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এদিন ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একান্ত বৈঠক হওয়ার কথা।
মস্কো: রাশিয়া পৌঁছে গেলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সোমবার ভারতীয় সময় দুপুর তিনে নাগাদ মস্কোর ভনুকোভো বিমানবন্দরের রানওয়ে ছোঁয় জিনপিং-এর ব্যক্তিগত বিমান। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে ‘বন্ধুত্ব সফরে’ রাশিয়ায় আসলেন জিনপিং। জিনপিংয়ের এই রাশিয়া সফরের দিকে বর্তমানে গোটা পৃথিবীর চোখ রয়েছে। তিন দিনের সফরে দুই রাষ্ট্রনেতা দুই দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতার পাশাপাশি ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানানো হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের একটা নিষ্পত্তি আশা করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। যদিও মস্কো রওনা হওয়ার আগে, শি-এর মুখে শুধুই পুতিনের প্রশংসা শোনা গিয়েছে, ইউক্রেন সম্পর্কে প্রায় কিছুই বলেননি তিনি। জানা গিয়েছে, সোমবার শি জিনপং-এর সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিনের একান্ত বৈঠক হবে। মঙ্গলবার হবে আরও বিস্তৃত আলোচনা।
জিনপিং মস্কো এসে পৌঁছনোর আগেই শি জিংপিং এবং ভ্লাদিমির পুতিন তাদের দুই দেশের সম্পর্কের প্রশংসা করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, গত এক দশকে দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত হয়েছে। ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া এবং চিন এখন এক ‘সাধারণ হুমকির’ মোকাবিলা করছে। বলাই বাহুল্য তিনি আমেরিকার দিকে ইঙ্গিত করেছেন। এই অবস্থায় প্রেসিডেন্ট শির সফর ‘এক যুগান্তকারী ঘটনা’ বলেছেন পুতিন। এই সফরে ‘রাশিয়া-চিন বিশেষ সম্পর্ক’ আরও মজবুত হবে। চিনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে যেখানে পুতিন এই সমস্ত মন্তব্য করেছেন, রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমে এই কৃতজ্ঞতা ফিরিয়ে দিয়েছেন শি জিনপিং-এ।
???? O avião da delegação do presidente chinês Xi Jinping pousa em Moscou. pic.twitter.com/4UbQbIuJPp
— ??????? ?? ?????? (@falandodedefesa) March 20, 2023
এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত রুশ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পর, প্রথম কোনও বিদেশি নেতা হিসেবে রাশিয়া সফরে এসেছেন শি জিনপিং। পুতিন জানিয়েছেন, শি জিনপিং-এর সঙ্গে আসন্ন বৈঠকের বিষয়ে তাঁর উচ্চ প্রত্যাশা রয়েছে। জিনপিং-কে তিনি একজন ‘পুরনো ভাল বন্ধু’ বলেছেন। বলেছেন, শি-এর সঙ্গে ‘উষ্ণ সম্পর্ক’ রয়েছে তাঁর। চিনের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক সার্বিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে এবং এই মুহূর্তে তারা সবথেকে কাছাকাছি আছেন বলেও দাবি করেছেন পুতিন। পুতিনের মতে ‘রাজনৈতিক আস্থার অভূতপূর্ব স্তরে’ আছে চিন ও রাশিয়া। আর দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে।