Satellite Crash: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে স্যাটেলাইট, কোথায় আছড়ে পড়বে? বড় সতর্কতা বিজ্ঞানীদের
Satellite Crash: ১৯৭২ সালের মার্চ মাসে প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক উৎক্ষেপিত কসমস ৪৮২ গ্রহটি শুক্র গ্রহের তথ্য সংগ্রহের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু একটি বুস্টার ত্রুটির কারণে পৃথিবীর কক্ষপথেই আটকে যায় এটি।

পৃথিবীর আকাশে আবারও দুশ্চিন্তার মেঘ? ধরত্রীর বুকে আবারও ভেঙে পড়তে চলেছে রাশিয়ার কৃত্রিম উপগ্রহ কসমস ৪৮২। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন লঞ্চ করার পর থেকে ৫০ বছর কেটে গেলেও বর্তমানে সেই স্যাটেলাইটটি অকেজো হয়ে পড়েছিল। হঠাৎ করেই ফিরে আসছে পৃথিবীর বুকে। প্রায় একটা গাড়ির আকারের সমান এই স্যাটেলাইটটি আগামী সপ্তাহে ৭-১৩ মে এর মধ্যে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতে পারে বলে ধারণা। খানিকটা ধ্বংস হলেও এর ধবংসাবশেষ আছড়ে পড়তে পারে এই পৃথিবীতেই।
১৯৭২ সালের মার্চ মাসে প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক উৎক্ষেপিত কসমস ৪৮২ গ্রহটি শুক্র গ্রহের তথ্য সংগ্রহের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু একটি বুস্টার ত্রুটির কারণে পৃথিবীর কক্ষপথেই আটকে যায় এটি। তখন থেকেই পৃথিবীর প্রদক্ষিণ করে আসছে এই স্যাটেলাইট। সেই লঞ্চের কয়েক দশক পরে, মাধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্রুত এটিকে পিছনে টেনে আনছে বলেই জানা গিয়েছে নিউ ইয়র্ক পোস্টের একটি প্রতিবেদন অনুসারে।
পৃথবীতে ফের ফিরে আসা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও খুব বড় বিপর্যয় হবে না বলেই আশা। মহাকাশ বিশেষজ্ঞ জোনাথন ম্যাকডোয়েলের মতে, মহাকাশযানটি ‘ভালোভাবে টিকে থাকতে পারে’ কারণ নকশা শুক্র গ্রহের কঠোর পরিস্থিতি সহ্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। ডাচ জ্যোতির্বিজ্ঞানী মার্কো ল্যাংব্রোক জানান, একটি গাড়ি আকাশ থেকে ১০০ মাইল প্রতি ঘন্টার থেকেও বেশি গতিবেগে পৃথিবীপৃষ্ঠে আছড়ে পড়লে যে প্রভাব পড়তে পারে সেই ধরনের প্রভাব দেখা যাবে। ল্যাংব্রোক জানিয়েছেন প্রায় ৫০০ কেজি ওজনের এবং ১ মিটারেরও বেশি প্রস্থের এই স্যাটেলাইটের অবশিষ্টাংশ উল্কাপিণ্ডের আঘাতের মতোই ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
কোথায় পড়বে এই স্যাটেলাইটের অবশিষ্টাংশ?
কোথায় এসে পড়বে স্যাটেলাইটের অংশ তা এক্ষুণী বলা সম্ভব নয়। স্যাটেলাইটটি ৫২ ডিগ্রি উত্তর এবং ৫২ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে কোথাও অবতরণ করবে বলেই আশা করা হচ্ছে। অর্থাৎ এমন একটি অঞ্চল যা ইউরোপ, এশিয়া, আমেরিকা, আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার বেশিরভাগ অংশকে অন্তর্ভুক্ত করে। সঠিক কোথায় পড়বে তা বলা সম্ভব নয়।
যদি স্যাটেলাইটটি কোনও বড় ক্ষতি বা আঘাতের কারণ হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ আইনের অধীনে রাশিয়াকে আইনত এর জন্য দায়ী করা যেতে পারে।
