Sheikh Hasina: সত্যিই কি পদত্যাগ করেছিলেন হাসিনা? আড়াই মাস পর বিস্ফোরক দাবি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির

Rajib Khan | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Oct 21, 2024 | 7:28 PM

Sheikh Hasina: সত্যিই কি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা? নাকি তাঁকে জোর করেই দেশ ছাড়া করা হয়েছিল? অন্তবর্তীকালীন সরকার এক কথা বলছে। আর আওয়ামি লিগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলছেন অন্য কথা। প্রায় আড়াই মাস পর, বিষয়টি খোলসা করলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।

Sheikh Hasina: সত্যিই কি পদত্যাগ করেছিলেন হাসিনা? আড়াই মাস পর বিস্ফোরক দাবি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির
শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর
Image Credit source: Getty Images

Follow Us

ঢাকা: সত্যিই কি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা? নাকি তাঁকে জোর করেই দেশ ছাড়া করা হয়েছিল? গত অগস্ট থেকে বিভিন্ন আলোচনা চলছে এই বিষয় নিয়ে। কারণ, বর্তমান অন্তবর্তী সরকার এক কথা বলছে। আর আওয়ামি লিগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলছেন অন্য কথা। সাধারণ মানুষ কাকে বিশ্বাস করবেন, বুঝে পাচ্ছেন না। কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না, গত ৫ অগস্ট গণভবনে ঠিক কী হয়েছিল। অবশেষে প্রায় আড়াই মাস পর, বিষয়টি খোলসা করলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। সোমবার (২১ অক্টোবর), তিনি বলেছেন, “আমিও শুধু মুখেই শুনেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। তবে আমার কাছে এর কোনও প্রামাণ্য দলিল বা অন্য কোনও নথিপত্র নেই।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় দৈনিক সংবাদপত্র ‘মানবজমিন’-এর প্রধান সম্পাদক, মতিউর রহমান চৌধুরীকে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে দিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেছেন, “আমি বহুবার পদত্যাগপত্র সংগ্রহের চেষ্টা করেছি, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি।’ তিনি জানান, গত ৫ অগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে বঙ্গভবনে একটি ফোন এসেছিল। তাতে বলা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী আসবেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু এক ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি ফোন করে বলা হয়, শেখ হাসিনা আসবেন না।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বলেন, “চারদিকে অস্থিরতার খবর। কী হতে যাচ্ছে জানি না। হঠাৎ শুনলাম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার যখন আমার কাছে বঙ্গভবনে এলেন, তখন শুনলাম শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। এর কিছুদিন পর একদিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আমার কাছে পদত্যাগপত্রের কপি সংগ্রহ করতে আসেন। আমি তাঁকে বলি, আমিও তো একই জিনিস সবার কাছে খুঁজছি।” বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, “এই প্রশ্নটি যাতে আর কখনও না ওঠে তা নিশ্চিত করতে আমি সুপ্রিম কোর্টের মতামত চেয়েছি।”

এদিকে, মতিউর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন, যদি সত্যিই প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফাপত্র জমা দেয়া হয়, তাহলে তার অনুলিপি কারও না কারও কাছে থাকা উচিত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কারও কাছেই সেই অনুলিপি পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সরকারী বিভাগ হল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু সেখানেও শেখ হাসিনার কোনও পদত্যাগপত্র বা এই সংক্রান্ত কোন নথি পাওয়া যায়নি।

Next Article