AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Imran Khan: ইতিহাস বদলাতে পারলেন না ইমরান, আস্থা ভোটে হেরে নয়া রেকর্ডও গড়লেন ‘কাপ্তান’!

Imran Khan: শেষ বল অবধি খেলবেন বলেই জানিয়েছিলেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার। কিন্তু ভোটাভুটি হওয়ার আগেই ইমরান খান বুঝুতে পেরেছিলেন যে, আস্থা ভোটে তাঁর জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই। সেই কারণেই শনিবার তিনি সংসদেও যাননি।

Imran Khan: ইতিহাস বদলাতে পারলেন না ইমরান, আস্থা ভোটে হেরে নয়া রেকর্ডও গড়লেন 'কাপ্তান'!
ফাইল ছবি
| Edited By: | Updated on: Apr 10, 2022 | 7:51 AM
Share

ইসলামাবাদ: চেষ্টা করেছিলেন অনেক, তবে শেষরক্ষা হল না। আস্থাভোটে হার মানতেই হল ইমরান খানকে(Imran Khan)। পাকিস্তানের ইতিহাসে নাম লেখালেন তিনিও। তাও আবার দুটি কারণে। ১৯৪৭ সালে অভিন্ন ভারত ভেঙে দু’টুকরো হওয়ার পর তৈরি হয়েছিল পাকিস্তান। তারপর থেকে এখনও অবধি কোনও প্রধানমন্ত্রীই পাঁচ বছরের মেয়াদ পূরণ করতে পারেননি। দেশের সেনাবাহিনীর রোষানলে পড়ে, কখনও আবার খুন হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ মেয়াদের আগেই বারে বারে খালি হয়েছে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর পদ। এবার ইমরান খানও মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই গদি ছাড়তে বাধ্য হলেন। তবে আরও একটি রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এর আগে কোনও প্রধানমন্ত্রীকেই আস্থা ভোটে হেরে গদি ছাড়তে হয়নি।

শনিবারই পাক জাতীয় সংসদে আস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল। সকাল ১০টায় শুরু হয়েছিল অধিবেশন, দুপুর ১টায় যে আস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল, তা সারাদিনের নাটকীয়তার পর রাত সাড়ে ১২টায় শুরু হয়। আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন না করতে পারায়, গদি ছাড়তে বাধ্য হন ইমরান খান। আগামিকাল, সোমবার ফের বসবে পাকিস্তান সংসদ। সেখানেই বেছে নেওয়া হবে নতুন প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ৩৪২ সদস্যের পাকিস্তান সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য ইমরানের কমপক্ষে ১৭২টি ভোটের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু গতকাল তাঁর বিরুদ্ধেই ১৭৪টি ভোট পড়ে। সেই কারণেই হেরে যান ইমরান এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর গদি ছাড়তে বাধ্য হন।

শেষ বল অবধি খেলবেন বলেই জানিয়েছিলেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার। কিন্তু ভোটাভুটি হওয়ার আগেই ইমরান খান বুঝতে পেরেছিলেন যে, আস্থা ভোটে তাঁর জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই। সেই কারণেই শনিবার তিনি সংসদেও যাননি। ২০১৮ সালে ‘নয়া পাকিস্তান’ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ক্ষমতায় আসলেও, মেয়াদ পূরণ হওয়ার আগেই গদি ছাড়তে হল তাঁকে। এদিকে, একসময় এই রাজনীতির ময়দানে নিজের জায়গা করে নেওয়ার জন্যই ক্রিকেটের মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইমরানকে ডুবিয়েছে তাঁর নীতিই। দেশ পরিচালনের ক্ষেত্রে তিনি যে সমস্ত সিদ্ধান্তগুলি নিয়েছিলেন, তা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল আগেই। করোনাকালে দেশে আর্থিক সঙ্কট দেখা দেওয়ার পরই সাধারণ মানুষ তাঁর উপর থেকে আস্থা হারান। দেশের অর্থনীতি, বিদেশনীতি কিছুই সামলাতে পারছেন না ইমরান, এমনটাই অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। অন্য়দিকে, পাক সেনাবাহিনীর ‘প্রিয়পাত্র’ হয়েই ক্ষমতায় এলেও, কয়েক বছরের মধ্যেই চরমে ওঠে বিরোধ। কার্যত সেনাবাহিনীর চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন ইমরান। আর কথায় আছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যারাই বিরোধে জড়িয়েছে, তারা আর ক্ষমতায় থাকতে পারেননি।

প্রায় তিন দশক ধরে সেনার শাসনে থাকা পাকিস্তানের কোনও প্রধানমন্ত্রীই পাঁচ বছর গদিতে টিকে থাকতে পারেননি। তবে সেনার সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েই আস্থাভোটের মুখে পড়তে হল ইমরানকে এবং সেখানে বিরোধী ও নিজের দলের সদস্যদের ভোটেই প্রধানমন্ত্রীর গদিও ছাড়তে হল তাঁকে।

আরও পড়ুন: Pakistan No-Confidence Motion : পাক সংকটে নয়া মোড়, মধ্যরাতে খুলছে সুপ্রিম কোর্টের দরজা, আদালত অবমাননার নোটিশ ধরানো হতে পারে ইমরানকে