হিসেব চোকানো বাকি, লস্কর প্রধানকে হস্তান্তর করতে পাকিস্তানকে সরকারি চিঠি ভারতের

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Dec 28, 2023 | 2:52 PM

Hafiz Saeed: কূটনৈতিক সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রককে লস্কর প্রতিষ্ঠাতাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে ভারত সরকারের। ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদের নাম রয়েছে ভারতের 'মোস্ট ওয়ান্টেড' সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায়।

হিসেব চোকানো বাকি, লস্কর প্রধানকে হস্তান্তর করতে পাকিস্তানকে সরকারি চিঠি ভারতের
ফাইল ছবি
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

নয়া দিল্লি: পাকিস্তানের আসন্ন নির্বাচনে, হাফিজ সইদের সমর্থিত দল এবং তার পুত্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার খবরের মধ্যেই, তাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য সরকারিভাবে পাকিস্তানকে অনুরোধ জানাল নয়া দিল্লি। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রককে লস্কর প্রতিষ্ঠাতাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে ভারত সরকারের। ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদের নাম রয়েছে ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তাকে জঙ্গি নেতার তকমা দিয়ে, তাকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ১ কোটি মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে।

২০০৮ সালে মুম্বইয়ে হামলাই নয়, ভারতের মাটিতে বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ রয়েছে হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে। এর আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে, ভারত বহুবার হাফিজ সইদকে প্রত্যর্ণের দাবি জানিয়েছে। তাকে ভারতে এসে ন্যায্য বিচারের সম্নমুখীন হতে বলেছে। কিন্তু, এই বিষয়ে ইসলামাবাদকে চাপ দেওয়ার জায়গায় নেই নয়া দিল্লি। কারণ, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনও বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই। কাজেই এই বিষয়ে বাধ্য নয় পাকিস্তান। কাজেই সরকারিভাবে পাকিস্তানের কাছে হাফিজ সইদের প্রত্যর্পণের দাবি জানালেও, তাকে কতটা আমল দেবে পাকিস্তান, সেই বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে, ভারতে করা অপরাধেক হিসেব তো তাকে চোকাতেই হবে।

একই সঙ্গে, হাফিজ সঈদ বর্তমানে পাকিস্তানের কারাগারে আছে। অন্তত, ইসলামাবাদ তাই দাবি করে। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে তাকে গ্রেফতার করেছিল পাক পুলিশ। সন্ত্রাসবাদে তহবিল জোগানের দায়ে, তাকে ৩১ বছরের কারাদণ্ড দেয় এক পাক আদালত। তবে, দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও, লস্কর প্রধানের বিচার ইসলামাবাদ করেছিল ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ-এর পর্যালোচনার মাত্র কয়েক মাস আগে। সেই সময় পাকিস্তান সংস্থার কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার মুখে ছিল। আর তা হলে, আন্তর্জাতিক মহল থেকে ঋণ পাওয়া বন্ধ হয়েযেত ইসলামাবাদের। কাজেই, হাফিজ সইদের বিচার একেবারেই ‘আইওয়াশ’ ছিল বলে মনে করা হয়।

শোনা যায়, কারাগার থেকেই সে তার জঙ্গি কার্যকলাপ বজায় রেখেছে। বস্তুত, বর্তমানে সে কারাগারে আছে কিনা, তাও স্পষ্ট নয়। এদিকে, সম্প্রতি জানা গিয়েছে, পাকিস্তানেরল আসন্ন নির্বাচনে সকল আসনেই প্রার্থী দিচ্ছে পাকিস্তান মর্কজি মুসলিম লিগ বা পিএমএমএল। এই রাজনৈতিক দলকে পিছন থেকে চালায় হাফিজ সইদই। তার ছেলে তালহা সইদও নির্বাচনে পিএমএমএল-এর প্রার্থী হচ্ছে। গত বছরই তালহা সইদকে ইউএপিএ-র অধীনে সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করেছিল ভারত।

Next Article