Mysterious Death: আমেরিকায় রহস্যমৃত্যু ভারতীয় পরিবারের চার জনের, দেহে গুলির আঘাত

Feb 14, 2024 | 4:48 PM

পুলিশ গিয়ে দেখে, আনন্দ এবং অ্যালিসের দেহ বাথরুমের মধ্যে পড়ে রয়েছে। এবং তাঁদের যমজ সন্তানদের দেহ শোওয়ার ঘরে পড়ে রয়েছে। ওই দম্পতির শরীরে গুলির ক্ষতচিহ্ন রয়েছে বলে মার্কিন পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। কেউ তাঁদের খুন করেছেন, না তাঁরা আত্মঘাতী হয়েছেন, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Mysterious Death: আমেরিকায় রহস্যমৃত্যু ভারতীয় পরিবারের চার জনের, দেহে গুলির আঘাত
একই পরিবারের চার জনের মৃত্যু
Image Credit source: Twitter

Follow Us

ক্যালিফোর্নিয়া: ফের আমেরিকায় মৃত্যু হল এক ভারতীয় পরিবারের। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজেদের বাড়িতেই ওই পরিবারের চার জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতেরা হলেন আনন্দ সুজিত হেনরি (৪২), তাঁর স্ত্রী অ্যালিস প্রিয়ঙ্কা (৪০) এবং তাঁদের চার বছরের দুই যমজ সন্তান নোয়া এবং নেথান। ওই ভারতীয়দের বাড়ি কেরলে। ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজেদের বাড়িতেই তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়েছে। সম্প্রতি ফোন করেও তাঁদের খোঁজ মিলছিল না। তখনই তাঁদের এক আত্মীয় সে দেশের পুলিশকে বিষয়টি জানান। এর পর পুলিশ গিয়ে বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ গিয়ে দেখে, আনন্দ এবং অ্যালিসের দেহ বাথরুমের মধ্যে পড়ে রয়েছে। এবং তাঁদের যমজ সন্তানদের দেহ শোওয়ার ঘরে পড়ে রয়েছে। ওই দম্পতির শরীরে গুলির ক্ষতচিহ্ন রয়েছে বলে মার্কিন পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। কেউ তাঁদের খুন করেছেন, না তাঁরা আত্মঘাতী হয়েছেন, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

এই ঘটনার বিষয়ে পুলিশ বলেছে, “খবর পেয়ে আমরা বাড়িতে যাই। সেখানে কারও সাড়া পাইনি। আমরা বাড়ির আশপাশে খোঁজ চালিয়েছি। তা দেখে মনে হয়নি জোর কেউ বাড়িতে ঢুকেছিল বলে। একটি খোলা জানলা দেখে আমাদের অফিসাররা বাড়ির ভিতরে ঢোকেন। সেখানে দিয়ে চারজনের দেহ দেখতে পায়। এক পুরুষ, এক মহিলা এবং দুই বাচ্চার দেহ উদ্ধার হয়েছে।” বাথরুম থেকে গুলি ভর্তি ৯এমএম পিস্তল উদ্ধার হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, কেরলের ওই দম্পতি ২০২০ সালে ২১ লক্ষ ডলার দিয়ে ওই বাড়িটি কিনেছিলেন। কেরলে বাড়ি হলেও গত ৯ বছর ধরেই মার্কিন মুলুকে থাকতেন তাঁরা। আনন্দ তথ্য প্রযুক্তি কর্মী হিসাবে কাজ করতেন। তবে কী থেকে এই মৃত্যু তা তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Next Article