Israel Iran Conflict: আমেরিকার মধ্যপ্রাচ্যের ‘হৃদপিণ্ডে’ আঘাত! একটা প্রত্যাঘাত যেভাবে বদলে দিল ট্রাম্পের সুর
Israel Iran Conflict: তিনের পাল্টা চার জায়গায় হামলা। এদিন কাতার ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য়ের আরও তিনটি দেশ যথাক্রমে কুয়েত, ইরাক ও বাহরিনে অবস্থিত মার্কিন সেনাঘাঁটিতে এই একই রকম ভাবে হামলা চালায় ইরান।

তেহরান: আমেরিকার মধ্যপ্রাচ্য়ের ‘হৃদপিণ্ডে’ আঘাত এনেছে ইরান। বদলা নিয়েছে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। সোমবার কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়ে খামেনেইয়ের ‘বিপ্লবী’ সেনা। যার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় কাতারের রাজধানী দোহা পর্যন্ত। এরপরই নতুন করে পারদ চড়ে আন্তর্জাতিক মহলে।
তিনের পাল্টা চার জায়গায় হামলা। এদিন কাতার ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য়ের আরও তিনটি দেশ যথাক্রমে কুয়েত, ইরাক ও বাহরিনে অবস্থিত মার্কিন সেনাঘাঁটিতে এই একই কায়দায় হামলা চালিয়েছে ইরান। তারা জানিয়েছে, যতটা শক্তি নিয়ে তাদের তিন পরমাণুকেন্দ্রে আমেরিকা হামলা চালিয়েছিল। ঠিক ততটাই শক্তি প্রয়োগ করেছে তারাও। আর এই ঘটনার পরেই সুর নরম ট্রাম্পের। ঘোষণা করেছেন সংঘর্ষ বিরতির।
কিন্তু একটা প্রত্যাঘাতেই কেন নুইয়ে পড়ল আমেরিকা?
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, কারণটা কাতার। সেখানে মার্কিন সেনাঘাঁটির নাম আল উদেইদ বায়ুসেনা ঘাঁটি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্য়ম সূত্রের জানা গিয়েছে, কাতারের ওই মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলার আগে কাতার প্রশাসনকে ইরান গোপনে ‘সতর্ক’ করে দিয়েছিল। বলা হয়েছিল, যেন সমস্ত কাতারের নাগরিকদের এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপরই ভারতীয় সময় রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চলে হামলা। পরপর ৯টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। তবে এই সংখ্যা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে।
কিন্তু প্রথম টার্গেট কেন কাতার?
কারণ, মধ্যপ্রাচ্য়ে আমেরিকার ‘হৃদপিণ্ড’ এটাই। এই আল উদেইদ বায়ুসেনা ঘাঁটি পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার তৈরি সবচেয়ে বড় সেনাঘাঁটি। যেখান থেকে মধ্যপ্রাচ্যের আর সকল দেশের সেনার গতিবিধি উপর নজরদারি চালায় তারা। তাই কৌশলগত দিক থেকে আল উদেইদে হামলা কার্যত তাৎপর্যপূর্ণ।
দোহা থেকে একদম দক্ষিণ-পশ্চিমের দিকে মোট ৬০ একর জমির উপর বিস্তৃত এই আল উদেইদ মার্কিন ঘাঁটি। যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। সেই থেকেই মধ্য়প্রাচ্যে আমেরিকার কেন্দ্রীয় কমান্ড সেন্টার হয়ে উঠেছে এটি। যেখানে বর্তমানে রয়েছে ১০ হাজারের অধিক মার্কিন সেনা-জওয়ান।
আমেরিকা জানিয়েছে, হামলা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তার কোনও প্রভাব পড়েনি তাদের উপর। অক্ষত রয়েছেন জওয়ানরা। অন্য দিকে, এই হামলার পর ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ একটি বিবৃতি মাধ্যমে স্পষ্ট করেছে, ‘বন্ধু কাতারের সঙ্গে ইরানের কোনও শত্রুতা নেই। এমনকি, এই হামলা কোনও ভাবেই তাদের বিরুদ্ধে নয়। কাতারের মানুষের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক অটুট থাক।’

