গাজা: ইজরায়েল ও হামাস (Israel-Hamas) বাহিনীর যুদ্ধের ব্যাপকতা ক্রমশ বাড়ছে। কার্যত ধ্বংসপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা। হামাস বাহিনীকে বিশ্ব থেকে নিশ্চিহ্ন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী (Israel PM) বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইতিমধ্যে বহু শক্তিধর রাষ্ট্র ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে এবার সুদূর প্যারিস (Paris) থেকে একদল যুবক এসেছেন এই যুদ্ধক্ষেত্রে (Gaza)। সেই ছবি ধরা পড়েছে যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত TV9 বাংলার প্রতিনিধি, চিত্রসাংবাদিক সুদেব রায়ের ক্যামেরায়। আর সেই ফরাসি যুবকদের সঙ্গে তাঁদের গাজা আগমনের কারণ সম্পর্কে খোঁজ নিলেন একমাত্র বাঙালি সাংবাদিক, TV9 বাংলার প্রতিনিধি সিজার মণ্ডল।
ফ্রান্স থেকে ইজরায়েলের একেবারে দক্ষিণ সীমান্ত, গাজার দূরত্ব নেহাত কম নয়। প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে, দু-তিনটি দেশ টপকে প্যারিস থেকে গাজা সীমান্তে এসে পৌঁছেছেন একদল ফরাসি যুবক। কেবল ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়াতে ও তাদের মনোবল বাড়াতেই তাঁরা গাজা সীমান্তে এসেছেন বলে জানিয়েছেন। গাজা সীমান্তে TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে এই ফরাসি যুবকেরা জানান, তাঁরা ইজরায়েলের সেনার জন্য খাবার নিয়ে এসেছেন। হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইজরায়েলের সেনাদের উদ্দীপ্ত করতে, পাশে থাকার বার্তা দিতেই তাঁরা সুদূর প্যারিস থেকে গাজায় এসেছেন।
কেবল দূর থেকে বার্তা দেওয়া নয়, এই ফরাসি যুবকেরা গাজা সীমান্তে এসে ইজরায়েলের সেনাদের সঙ্গে দেখা করেন এবং কথা বলেন। ইজরায়েলের সেনাদের সঙ্গে করমর্দন করে, তাঁদের হাতে শুকনো খাবারের প্যাকেটও তুলে দেন। এরপরই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সুরে তাঁদের বার্তা, হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে। পৃথিবীর বুক থেকে হামাসকে মুছে ফেলতে হবে।
এদিকে, হামাস বাহিনীকে নির্মূল করতে ও গাজা সম্পূর্ণ দখল করতে প্রস্তুত ইজরায়েল। হামাস বলে আর কিছু থাকবে না বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। এবার জল, স্থল ও আকাশ- তিনদিক থেকেই হামলা চালাতে গাজা সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা সাঁজোয়া। রয়েছে সেনা ট্যাঙ্ক, আর্টিলারি। যদিও হামাস বাহিনীর উপর হামলা চালালেও গাজাকে সম্পূর্ণ দখল করতে যাওয়া সঠিক পদক্ষেপ হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানিয়েছেন, প্যালেস্তাইনের সব নাগরিক হামাসকে সমর্থন করে না। সেক্ষেত্রে গাজা দখল করতে যাওয়া ঠিক হবে না। এবার হামাসকে নির্মূল করতে নেতানিয়াহু কী পদক্ষেপ করেন, ১০ দিন পর ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ কোন দিকে গড়ায়, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।