Israel: ‘বিদেশেও হামাস নেতাদের খুঁজে খুঁজে মারব’, প্রকাশ্যে হুমকি নেতানিয়াহুর

Israel TO kill Hamas leaders across the world: সেই নির্দেশ মেনে, ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলি হামাস নেতাদের খুঁজে বের করে খতম করার জন্য এক বছরব্যাপী অভিযান চালানর পরিকল্পনা করছে। হামাস মূলত গাজা ভূখণ্ডেই কর্মকাণ্ড চালালেও, তুরস্ক, লেবানন, কাতারের মতো বিভিন্ন দেশে লুকিয়ে রয়েছেন হামাস নেতারা। কাতারের দোহায় তো গত এক দশক ধরে রাজনৈতিক কার্যালয় চালায় হামাস।

Israel: 'বিদেশেও হামাস নেতাদের খুঁজে খুঁজে মারব', প্রকাশ্যে হুমকি নেতানিয়াহুর
হামাস শীর্ষ নেতৃত্ব - (বাঁদিক থেকে) গাজার প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার, হামাসের প্রধান নেতা ইসমাইল হানিয়েহ এবং হামাসের সামরিক শাখার প্রধান দেইফ Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 02, 2023 | 3:56 PM

তেল আবিব: শুধু গাজা ভূখণ্ড নয়, সারা বিশ্বেই হামাস নেতাদের খুঁজে বের করে করে তাদের নির্মূল করার সিদ্ধান্ত নিল ইজরায়েল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের শীর্ষস্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে এই নির্দেশ দিয়েছেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সূত্রের খবর, সেই নির্দেশ মেনে, ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলি হামাস নেতাদের খুঁজে বের করে খতম করার জন্য এক বছরব্যাপী অভিযান চালানর পরিকল্পনা করছে। হামাস মূলত গাজা ভূখণ্ডেই কর্মকাণ্ড চালালেও, তুরস্ক, লেবানন, কাতারের মতো বিভিন্ন দেশে লুকিয়ে রয়েছেন হামাস নেতারা। কাতারের দোহায় তো গত এক দশক ধরে রাজনৈতিক কার্যালয় চালায় হামাস।

ইজরায়েলের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আরও বেশ কয়েকটি দেশ হামাসকে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিসেবে মনে করলেও, অনেকের চোখেই হামাস প্যালেস্তিনীয়দের মুক্তি বাহিনী। কাতার, ইরান, রাশিয়া, তুরস্ক এবং লেবাননের মতো বেশ কয়েকটি দেশ তো বহু বছর ধরে হামাসকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়। এই নিয়ে আপত্তি থাকলেও, এতদিন কূটনৈতিক সংকট এড়াতে এই সহায়তা প্রদান নিয়ে কিছু বলেনি ইজরায়েল। কিন্তু, এবার এই দেশগুলির মাটিতেই অভিযান চালানর নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু। সাধারণত এই ধরনের পরিকল্পনাগুলি গোপন রাখা হয়। কারণ, অন্য দেশের মাটিতে গিয়ে সামরিক অভিযান চালাতে গেলে, সেই দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু, এই ক্ষেত্রে নেতানিয়াহু সরাসরি বলেছেন, “আমি মোসাদকে (ইজরায়েলি প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা) নির্দেশ দিয়েছি হামাসের প্রধানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। তারা যে দেশেই লুকিয়ে থাকুক, আমরা তাদের নির্মূল করবই।”

একইভাবে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টও বলেছেন, “হামাস নেতাদের হত্যার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সংগ্রাম বিশ্বব্যাপী চলবে। গাজায় যে সন্ত্রাসবাদীরা রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও চলবে। আর যারা ব্যয়বহুল বিমানে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও চলবে।” স্পষ্টতই, ব্যয়বহুল বিমানে চড়ে ঘুরে বেড়ানো বলতে বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের কথাই বলতে চেয়েছেন তিনি। ওয়াল স্ট্রিট জার্নলের রিপোর্ট অনুসারে, এই মুহূর্তে গাজার বাইরে হামাস নেতাদের কোথায় এবং কীভাবে হত্যা করা হবে, সেই পরিকল্পনা চলছে।

বস্তুত, এর আগে বেশ কয়েকবার বিদেশের মাটিতে গোয়েন্দা অভিযান চালিয়েছে মোসাদ তথা ইজরায়েল। এই বিষয়ে তাদের যথেষ্ট দক্ষতাও আছে। ইজরায়েল গঠনের পর, ল্যাটিন আমেরিকায় লুকিয়ে থাকা নাজি অফিসারদের খুঁজে বের করে গোপনে ইজরায়েলে নিয়ে এসে তাদের বিচার করা হোক, কিংবা ১৯৭২ সালের মিউনিখ অলিম্পিকে প্যালেস্তাইন লিবারেশন অর্গৈানাইজেশনের সন্ত্রাসবাদী হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিদেশের মাটিতে হত্যা করা হোক, মোসাদের দক্ষতার পরিচয় পাওয়া গিয়েছে বারবার। সাম্প্রতিক সময়ে, মহিলা সেজে লেবাননের বেইরুটে প্যালেস্তিনীয় জঙ্গি নেতাদের হত্যা, দুবাইয়ে পর্যটকের ছদ্মবেশে হামাস নেতাকে হত্যা, গাড়ি বোমা ব্যবহার করে সিরিয়ায় হিজবুল্লাহ নেতাকে হত্যা, রিমোট চালিত বন্দুক দিয়ে ইরানের এক পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যার মতো অভিযোগ উঠেছে মোসাদের বিরুদ্ধে। তারা অবশ্য এই অভিযোগগুলি স্বীকার করে না।