Last Train of the World: এই ট্রেনে চড়েই চলে যাবেন বিশ্বের একেবারে শেষ প্রান্তের… কোথায় জানেন

May 15, 2024 | 7:33 PM

Last Train of the World: একসময় সেখানে একটি কারাগার ছিল। একটি কেন্দ্রীয় টাওয়ার থেকে ওয়ার্ডেন বন্দিদের দেখতে পেতেন। ওই দ্বীপ থেকে পালানো প্রায় অসম্ভব ছিল। পরে সেখানে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার জন্য রেলপথ তৈরি হয়েছিল।

Last Train of the World: এই ট্রেনে চড়েই চলে যাবেন বিশ্বের একেবারে শেষ প্রান্তের... কোথায় জানেন
ফাইল ছবি

Follow Us

আমেরিকা: উশুয়ায়া। কেউ কেউ বলেন বিশ্বের দক্ষিণতম শহর। অবস্থিত দক্ষিণ আমেরিকার সর্বদক্ষিণ প্রান্তে। সেই শহরের উপকণ্ঠের বাইরে একটি ছোট স্টিম রেলের পথ রয়েছে, যা মূলত উশুয়ায়ার বাসিন্দাদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য চালু হয়েছিল। বর্তমানে সেই ট্রেন যাত্রীদের মনোরম পিকো ভ্যালির মধ্য দিয়ে, ঘন বনে ঘেরা ১৩ ক্যানিয়নের মধ্য দিয়ে এক সুন্দর জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যায়।

এটি ছিল আমেরিকার উপনিবেশের সর্বশেষ অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি। ১৫২০ সালে ফার্দিনান্দ ম্যাগেলান এটি প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন। দ্বীপগুলির নামকরণ করা হয়েছিল “Tierra del Fuego”, যার অর্থ আগুনের ভূমি। ১৯ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে সাধারণ মানুষ এবং ধর্মপ্রচারকরা সেখানে যান। এরপর সেটি শহরের আকার নিতে শুরু করে।

জানা যায়, একসময় সেখানে একটি কারাগার ছিল। একটি কেন্দ্রীয় টাওয়ার থেকে ওয়ার্ডেন বন্দিদের দেখতে পেতেন। ওই দ্বীপ থেকে পালানো প্রায় অসম্ভব ছিল। পরে সেখানে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার জন্য রেলপথ তৈরি হয়েছিল।

মূল রেলপথটি কাঠের ট্র্যাক দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল যার উপর দিয়ে বলদ ওয়াগনগুলি টানত। ১৯০৯ সালে, জেল কর্তৃপক্ষ বাষ্প ইঞ্জিনের ব্যবহারে লাইনটিকে ন্যারোগেজে আপগ্রেড করে। লাইনটি জেল থেকে উপকূল বরাবর চলে গিয়েছে। ট্রেনটি ট্রেন দে লস প্রেসোস বা “বন্দিদের ট্রেন” নামে পরিচিত ছিল।

কাঠ ফুরিয়ে যাওয়ায় রেলপথটি ধীরে ধীরে বনের অভ্যন্তরে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। এটি পিপো নদীর উপত্যকা অতিক্রম করে উচ্চ ভূমিতে চলে গিয়েছে। ১৯৪৭ সালে জেল বন্ধ হয়ে যায়।

১৯৮২ সালের পর রেলপথ পুনরায় চালু করা হয়েছিল। এটির নামকরণ করা হয় সাউদার্ন ফুয়েজিয়ান রেলওয়ে। এটাই বিশ্বের সবথেকে দক্ষিণের রেল পথ।

Next Article