India-China Relation: ‘হাতি আর ড্রাগন নাচবে একসঙ্গে’, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতে চাইছে চিন, নেপথ্যে কি অন্য ফন্দি?
India-China Relation: ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের মিটিংয়েই চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, "ড্রাগন ও হাতির নাচ একমাত্র সঠিক সিদ্ধান্ত। একে অপরকে টেনে নামানোর বদলে সমর্থন করা উচিত এবং নিজেদের বিরোধিতা না করে সহযোগিতা বাড়ানো উচিত। এটাই আমরা চাই।"

বেজিং: এ তো ভূতের মুখে রামনাম! যে চিন ভারতের সঙ্গে সবসময় নরম-গরম বিবাদ বাঁধিয়ে রাখে, সেই চিনের মুখেই বন্ধুত্বের বার্তা। যখন আমেরিকা বনাম চিনের ট্যারিফ যুদ্ধ লাগছে, সেই সময়ই ভারতকে পাশে চাইল চিন। পড়শি দেশের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই (Wang Yi) বেজিং ও নয়া দিল্লিকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানালেন। বললেন, “পাওয়ার পলিটিক্সের বিরোধিতায় নেতৃত্ব দিক দুই দেশ।”
ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের মিটিংয়েই চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, “ড্রাগন ও হাতির নাচ একমাত্র সঠিক সিদ্ধান্ত। একে অপরকে টেনে নামানোর বদলে সমর্থন করা উচিত এবং নিজেদের বিরোধিতা না করে সহযোগিতা বাড়ানো উচিত। এটাই আমরা চাই।”
তিনি আরও বলেন যে এশিয়ার দুটি সবথেকে বড় অর্থনীতি যদি এক হয়ে যায়, তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গণতন্ত্রীকরণ ও উন্নয়ন হবে। গ্লোবাল সাউথ শক্তিশালী হলে তার ভবিষ্যত উজ্জ্বল হবে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণে পরিবর্তন এসেছে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে চিনা বিদেশমন্ত্রী বলেন যে বিগত কয়েক বছরে দুই দেশের সম্পর্ক ইতিবাচক দিকেই এগিয়েছে। লাদাখের দেপস্যাং, দেমচকে সেনা প্রত্য়াহার থেকে শুরু করে গত বছর অক্টোবরে রাশিয়ার কাজানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাক্ষাতের উদাহরণ দেন। বলেন, “সীমান্ত দিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ব্যাখ্যা করা বা নির্দিষ্ট কোনও পার্থক্যের কারণে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রভাবিত হওয়া উচিত নয়।”
চিন হঠাৎ ভোল বদলে বন্ধুত্বের হাত বাড়ালেও, ভারত এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
প্রসঙ্গত, গালওয়ান সংঘর্ষের চার বছর কেটে যাওয়ার পর গত বছরই পূর্ব লাদাখে সীমান্তে সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে পরিস্থিতি। সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও বলেছেন যে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও স্বাভাবিক ও ইতিবাচক করতে কাজ করছে ভারত সরকার।

