Maldives Bans Smoking: ২০০৭ সাল বা তার পরে জন্ম হলে করা যাবে না ধূমপান, কড়া নির্দেশিকা মুইজ্জুর সরকারের
Maldives Bans Smoking News: শনিবার এই প্রসঙ্গে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে ওই দ্বীপরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতর। তাতে তারা জানিয়েছেন, 'জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং তামাক-মুক্ত প্রজন্ম তৈরি করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই নতুন সংশোধনী কার্যকর করার মাধ্যমে একটা প্রজন্মকে তামাকজাত দ্রব্য সেবন থেকে মুক্ত করে দেওয়া হবে।'

নয়াদিল্লি: আগামী প্রজন্মকে ধূমপান থেকে দূরে রাখতে তৎপর মলদ্বীপ সরকার। কার্যকর নতুন নিয়ম। যাঁদের জন্ম ২০০৭ সালের পয়লা জানুয়ারি বা তার পর, তাঁরা কোনও দিন চাইলেও ধূমপান বা তামাকজাত দ্রব্য সেবন করতে পারবেন না বলেই ঘোষণা করেছে মুইজ্জুর প্রশাসন।
শনিবার এই প্রসঙ্গে একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে ওই দ্বীপরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতর। তাতে তারা জানিয়েছেন, ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং তামাক-মুক্ত প্রজন্ম তৈরি করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই নতুন সংশোধনী কার্যকর করার মাধ্যমে একটা প্রজন্মকে তামাকজাত দ্রব্য সেবন থেকে মুক্ত করে দেওয়া হবে।’ মুইজ্জুর প্রশাসন জানিয়েছে, যাঁদের জন্ম ২০০৭ সালের পয়লা জানুয়ারি বা তার পরে, তাঁরা কোনও দিন চাইলেও মলদ্বীপের বুকে দাঁড়িয়ে তামাকজাত দ্রব্য কেনা, সেবন ও বিক্রি করতে পারবেন না।
অবশ্য শুধু দেশের নাগরিক নয়, মলদ্বীপে আগত পর্যটকদের জন্যও এই একই নীতি লাগু হবে বলেই জানিয়েছে সেই দ্বীপরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতর। এছাড়াও, সব বয়সের নাগরিকদের জন্য বৈদ্যুতিক সিগারেটের সেবন, বিক্রি ও আমদানিকেও নিষিদ্ধ করেছে তাঁরা। উল্লেখ্য, যাঁদের জন্ম ২০০৭ সালে হয়েছিল, তাঁরা সদ্যই প্রাপ্ত বয়স্ক হয়েছেন। অন্যদিকে, যাদের জন্ম ২০০৭ সালের পর তারা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পথে। এই বয়সকালেই ধূমপানের প্রতি আগ্রহ বাড়ে একাংশের। তাই আগেভাগেই এই নয়া নিয়ম কার্যকর করে দিয়েছে প্রশাসন।
ধূমপান রুখতে তৈরি হওয়া নিয়ম ভঙ্গ করলে দিতে হবে বড় ক্ষতিপূরণ। প্রশাসন দ্বারা জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী, ধূমপানের বয়স হয়নি এমন কাউকে মলদ্বীপে কোনও বিক্রেতা মাদক বা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করলে, বিক্রেতাকে ৩ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ফাইন দিতে হবে। মলদ্বীপের মুদ্রায় যার দর ৫০ হাজার রুফিয়া। আর কেউ যদি বৈদ্যুতিক সিগারেট নিয়ে ধরা পড়েন, তাঁকে দিতে ৫ হাজার রুফিয়া বা ভারতীয় মুদ্রায় ২৮ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ।
