India-Maldives Relationship: ভারত-বিরোধিতার বদলা? মলদ্বীপে সরকার ফেলতে দিল্লির কাছে ‘হাত পেতেছিল’ বিরোধী দল

Avra Chattopadhyay |

Dec 31, 2024 | 11:11 AM

India-Maldives Relationship: চলতি বছরের গোড়ায় মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জুকে পদ থেকে হটানোর জন্য ভারতের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্রের বিরোধী দল মলদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি। চাওয়া হয়েছিল মোট ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ৫১ কোটি টাকা।

India-Maldives Relationship: ভারত-বিরোধিতার বদলা? মলদ্বীপে সরকার ফেলতে দিল্লির কাছে হাত পেতেছিল বিরোধী দল
মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু
Image Credit source: PTI

Follow Us

নয়াদিল্লি: মহম্মদ মুইজ্জুকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরাতে ভারতের শরণাপন্ন হয়েছিল মলদ্বীপের বিরোধী দল। এমনই বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করল একটি মার্কিন দৈনিক। মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের সঙ্গে আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক হয়েছে এই দ্বীপরাষ্ট্রের। জল ঘোলা করতে বাকি রাখেনি সুযোগ সন্ধানি রাষ্ট্রগুলিও। আর তার মাঝেই সম্পর্কে চির ধরানো তথ্য পেশ এক সংবাদপত্রের।

আমেরিকান সংবাদপত্র ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের গোড়ায় মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জুকে পদ থেকে হটানোর জন্য ভারতের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্রের বিরোধী দল মলদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি। চাওয়া হয়েছিল মোট ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ৫১ কোটি টাকা। তবে বাস্তবে এই পরিকল্পনা কার্যকর হয়নি বলেই দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

কীভাবে তৈরি হয়েছিল প্লট?

প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুইজ্জুকে হটাতে অনাস্থা ভোটকেই হাতিয়ার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেদেশের বিরোধী দল। পরিকল্পনা মতোই সংসদের ৪০ জন জনপ্রতিনিধিকে ঘুষ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বলা বাহুল্য, এই তালিকায় ছিল মুইজ্জুর দলের সদস্যরাও। কিন্তু, সরকার ফেলতে ঠিক যত সংখ্যক ভোট দরকার ছিল, তা জোগাড় করে উঠতে পারেনি ওই বিরোধী দল, এমনটাই দাবি করা হয় প্রতিবেদনে।

শুধু তা-ই নয়, মলদ্বীপে সরকার ফেলার জন্য ভারতের গোয়েন্দা বিভাগ, রিসার্চ অ্য়ান্ড অ্যানালিসিস উইংয়ের সদস্যদের সঙ্গেও আলোচনা চালাচ্ছিল দ্বীপরাষ্ট্রের বিরোধী দলের নেতারা। আর সেই আলোচনা মতো কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মলদ্বীপে পালাবদলের ছকটাও কষে নিয়েছিল তারা। কিন্তু তাতেও যে বিশেষ সুবিধা করতে পেরেছিল, এমনটা নয়। অবশ্য এই পালাবদলে ভারত সরকারের মদত ছিল কি না এই প্রসঙ্গে কোনও কিছুই উল্লেখ করা হয়নি সেই রিপোর্টে।

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মহলে চিনপন্থী নামেই পরিচিতি মহম্মদ মুইজ্জুর। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সেই পরিচয়ের ফলাফল হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে নয়াদিল্লি। দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে তৈরি হয়েছে ফাটল। ভারত বিরোধি সুর চড়াও হয়েছে মলদ্বীপের অন্দরে। তবে সেই বিপদকে মাথায় চড়তে দেয়নি নয়াদিল্লি। ফাটল মলিন করে মুইজ্জুর সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়িয়েছে ভারত। কৃতজ্ঞতা দেখিয়েছেন দ্বীপরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতিও।

Next Article