টোকিও: ‘অকাজেই হচ্ছে আয়’, কিছু না করেই চার বছরে ২ কোটি টাকা কামালেন এই যুবক। শোজি মরিমোটো। গোটা বিশ্বজুড়ে আপাতত চর্চিত তারই নাম। কিছু না করেই মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা কামাচ্ছেন তিনি।
কে না চায় এমন জীবন? কোনও কাজ না করেই যেখানে আয় হবে এত লক্ষ লক্ষ টাকা। তবে এরকম বসে আয় করতে হলে মানতে হবে একটিই শর্ত। ভাড়া দিতে হবে নিজেকেই। শুনতে আজব লাগলেও এটাই সত্যি।
ঘটনা জাপানের। টোকিওর বাসিন্দা শোজি মরিমোটো নিজের শরীরকে ভাড়া দিয়েই আয় করেন বছরের ৫০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। প্রতি বুকিংয়ে মেলে পাঁচ হাজার টাকা বা দশ হাজার জাপানি ইয়েন। কিন্তু তাকে কেনই বা অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ভাড়া করেন ক্রেতারা?
জানা গিয়েছে, ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কখনও শারীরিক সম্পর্কে যান না মরিমোটো। বরং তাদেরকে সঙ্গ দিয়ে তাদের একাকিত্ব দূর করেন তিনি। মানুষকে সঙ্গ দেওয়া, তাদের সঙ্গে আলাপচারিতা করা, মজা করা, এই কাজ তার।
একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, বিশ্বে বাড়ছে একাকিত্ব। কার্যত মহামারির আকার ধারণ করছে এই মানসিক রোগ। ইংল্যান্ডে ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সিদের মধ্যে ৬০ শতাংশ মানুষই কোনও না কোনও ভাবে একাকিত্বের শিকার। একই অবস্থা জাপানেরও। বিশেষজ্ঞদের মতে, জাপানের পড়ন্ত জন্মহারের অন্যতম কারণ একাকিত্ব। গতিময় জীবনের জেরে সম্পর্ক তৈরি করতেই নাকি ভুলে গিয়েছেন অনেকে।
শুধুই মরিমোটো নয়। জানা যায়, জাপানে এখন এই নিজেকেই ভাড়া দেওয়ার ব্যবসায় নেমেছেন অনেকেই। শারীরিক নয় মিটবে মানসিক চাহিদা। দূর হবে একাকিত্ব। শুধু এক ক্লিকে বুক করে নিতে হবে পছন্দের মানুষটিকে।