ঢাকা: সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির জেরে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ইউনূস সরকারকে বারবার বার্তা দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতিতে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ চলছে। ত্রিপুরায় বাংলাদেশের দূতাবাসের সামনেও চলে বিক্ষোভ। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করেছে ভারত। দুঃখপ্রকাশ করেছে বিদেশ মন্ত্রক। ত্রিপুরায় বাংলাদেশের দূতাবাসের সামনে সেই বিক্ষোভের ঘটনায় এবার ঢাকায় ভারতের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠাল ইউনূস প্রশাসন। মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশের বিদেশ সচিব এম রিয়াদ হামিদুল্লাহর অফিসে পৌঁছন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
গতকাল আগরতলার রাস্তায় শতাধিক মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। অভিযোগ, ৫০ জন বিক্ষোভকারী বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশনের অন্দরে প্রবেশ করে। ঘটনার পরই পদক্ষেপ করে পুলিশ। এমনকি, বিদেশ মন্ত্রকের তরফে দুঃখপ্রকাশ করে বলা হয়, “বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশন চত্বরে যে ঘটনা ঘটেছে, তা দুঃখজনক। কূটনীতি সম্পর্কিত বা দূতাবাসের কোনও সম্পত্তির ক্ষতি করা যাবে না।”
ভারত ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করার পর বাংলাদেশে নিযুক্ত হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে ডেকে পাঠায় ইউনূস প্রশাসন। এর আগেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, ভারতের পদক্ষেপের পর বার্তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে মিছিলের পরই সেখানকার নিরাপত্তা বাড়ায় কলকাতা পুলিশ। দিল্লিতেও বাংলাদেশের হাইকমিশনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। তারপর ইউনূস প্রশাসন ভারতকে নিরাপত্তা বাড়ানো নিয়ে বার্তা পাঠায়।
ভারত আগেভাগে ব্যবস্থা নিলেও ইউনূস প্রশাসনের তরফে সেই উদ্যোগ দেখা যায়নি। বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ইউনূস সরকারকে বারবার বার্তা পাঠিয়েছে ভারত। তা নিয়ে বিশেষ হেলদোল দেখা যায়নি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের।