AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nepal unrest: বাসভবনে আগুন লাগাল বিদ্রোহীরা, পুড়ে মৃত্যু হল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর

Nepal former PM's wife critically injured: বছর পঁচাত্তরের খানাল ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ওই বছরের অগস্ট পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তবে শুধু খানালের বাসভবনে আগুন ধরানো নয়, এদিন একই পরিণতি হয়েছে সেদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডর বাড়িরও। সেখানেও হামলা চালায় তরুণ আন্দোলনকারীরা।

Nepal unrest: বাসভবনে আগুন লাগাল বিদ্রোহীরা, পুড়ে মৃত্যু হল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর
জ্বলছে নেপালImage Credit: PTI
| Updated on: Sep 09, 2025 | 8:22 PM
Share

কাঠমান্ডু: বুদ্ধভূম আজ যেন বধ্যভূমে পরিণত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারির প্রতিবাদে জ্বলছে নেপাল। সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-যুবর রোষ আছড়ে পড়েছে দিকে দিকে। আক্রান্ত হয়েছেন মন্ত্রীরা। রাষ্ট্রপতি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে রেহাই পেলেন না নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানালও। তাঁরও বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আর সেই আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল খানালের স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকরের।

মঙ্গলবার কাঠমান্ডুর ডাল্লুতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানালের বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিদ্রোহীরা। সেইসময় বাসভবনের ভিতরে ছিলেন খানালের স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী। আগুনে পুড়ে তিনি গুরুতর জখম হন। তাঁকে যখন উদ্ধার করা হয়, তখন তাঁর শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গিয়েছে। তাঁকে কীর্তিপুর বার্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, বাসভবনে আগুন লাগানোর আগে রাজ্যলক্ষ্মীকে জোর করে ভিতরে ঢুকিয়ে দেয় কয়েকজন বিদ্রোহী।

প্রসঙ্গত, বছর পঁচাত্তরের খানাল ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ওই বছরের অগস্ট পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তবে শুধু খানালের বাসভবনে আগুন ধরানো নয়, এদিন একই পরিণতি হয়েছে সেদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডর বাড়িরও। সেখানেও হামলা চালায় তরুণ আন্দোলনকারীরা। দখল নেয় সেই বাড়ির। তারপর ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। আবার রাষ্ট্রপতি ভবনেও এদিন আগুন ধরানো হয়। নেপালের অর্থমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রীকেও মারধর করা হয়।

গতকাল থেকে ছাত্র-যুবদের আন্দোলনের ঝাঁঝ ক্রমশ বেড়েছে। সেনাবাহিনীর অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়েছে কেপি শর্মা ওলিকে। আর প্রধানমন্ত্রী পদে কেপি শর্মা ওলি ইস্তফা দিতেই কাঠমান্ডুর রাস্তায় এদিন উল্লাসে মেতে ওঠে বিদ্রোহীরা।