North Korea Successor: উত্তর কোরিয়া শাসন করবে এই বালিকা? দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা রিপোর্টে চাঞ্চল্য
Kim Jong Un daughter: ২০২২ সালের নভেম্বরে একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সময় প্রথমবার বাবার সঙ্গে জনসমক্ষে দেখা গিয়েছিল কিম জু এ-কে। গত সেপ্টেম্বরে যখন সামরিক কুচকাওয়াজের সময় ভিআইপি স্ট্যান্ডে হাততালি দিচ্ছিল এই কিশোরী, তখন এক জেনারেলকে হাঁটু গেড়ে বসে তার কানে কিছু ফিসফিস করে বলতে দেখা গিয়েছে।
পিয়ংইয়াং: তিনি উত্তর কোরিয়ার শাসক। সেই কিম জং উনের (Kim Jong Un) বিরুদ্ধে সরব বিশ্বের একাধিক দেশ। তাঁকে স্বেরাচারী শাসক হিসেবেই দেখে শত্রু দেশগুলি। সম্প্রতি তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে নানা জল্পনা প্রকাশ্যে এসেছিল। তবে এর মধ্যেই আরেক চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে এল। কিম জং উনের উত্তরসূরি ইতিমধ্যে স্থির হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে, কিম জং উন-এর উত্তরসূরি হতে চলেছে তাঁর ছোট মেয়ে, কিম জু এ। বর্তমানে অবশ্য তার বয়স মাত্র ১০ বছর। তবে গত এক বছর ধরে যেভাবে বাবার সঙ্গে প্রকাশ্য কর্মসূচিতে তার উপস্থিতি বেড়েছে, তাতে তার কিম জং উনের উত্তরসূরি হওয়ার সম্ভাবনা আরও প্রবল হয়েছে।
২০২২ সালের নভেম্বরে একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সময় প্রথমবার বাবার সঙ্গে জনসমক্ষে দেখা গিয়েছিল কিম জু এ-কে। তারপর থেকে বাবার সঙ্গে ক্রমাগত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে অংশ নিতে দেখা যায়। গত সেপ্টেম্বরে যখন সামরিক কুচকাওয়াজের সময় ভিআইপি স্ট্যান্ডে হাততালি দিচ্ছিল এই কিশোরী, তখন এক জেনারেলকে হাঁটু গেড়ে বসে তার কানে কিছু ফিসফিস করে বলতে দেখা গিয়েছে। তারপর গত নভেম্বরে জু এ তার বাবার সঙ্গে বিমান বাহিনীর সদর দফতরও পরিদর্শন করে এবং বাবার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলে। এগুলি উত্তর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিতে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।
কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম কিম জু-কে কিমের প্রিয় সন্তান বলে ডাকে। বর্তমানে যেভাবে কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম থেকে রাজনীতিতে কিম জু-এর প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বাবার সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার ছবি উঠে আসছে, তার থেকেই মনে করা হচ্ছে কিম জং উনের উত্তরসূরি হতে চলেছে তাঁর ছোট মেয়ে। এছাড়া পরবর্তীতে কোনও অসুবিধা যাতে না হয়, সেজন্য কিম জং উন আগে থেকে উত্তরাধিকার প্রক্রিয়া এগিয়ে রাখতে চাইছেন বলেও শোনা যাচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেনি উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।