ওয়াশিংটন: বিশ্বের তাবড় তাবড় রাজনীতিক থেকে শিল্পপতি। ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে চাঁদের হাট। আগামী ২০ তারিখ আমেরিকার ৪৭ তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথগ্রহণ করবেন তিনি। ইতিমধ্যেই সেই অনুষ্ঠান ঘিরে আমেরিকার অলিতেগলিতে সাজোসাজো রব। অনুষ্ঠানে প্রবেশপত্র পেতে মরিয়া সাধারণ। এমনকি, বিশেষ প্রবেশপত্র পেতে ভিড় জমিয়েছেন আমেরিকার একাধিক শিল্পপতি ও বড় ব্যবসায়ীও।
অনুষ্ঠানের খরচ জোগাচ্ছে শিল্পপতিরা
ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কমতি নেই কিছুরই। নিরাপত্তা চাদরে ঢেকেছে রাজধানী। বিশ্বনেতাদের সাদরে আমন্ত্রণ জানাতে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর ও বিমানবন্দরগুলিকে। আর এত সব জাঁকজমকের জন্য বিরাট বাজেট তৈরি করেছে ট্রাম্পের উদ্বোধনী কমিটি। আর সেই বাজেটের কার্যত খরচ মেটাচ্ছে শিল্প সংস্থাগুলি। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, এখনও অবধি দেশের ছোট-বড় কোম্পানির আর্থিক সাহায্য মাধ্যমেই ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তুলে ফেলেছে উদ্বোধনী কমিটি। যা ভেঙে দিয়েছে অতীতের সব রেকর্ড।
২০২১ সালে বাইডেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য এত ‘চাঁদা’ তুলতে পারেনি উদ্বোধনী কমিটি। পরিসংখ্যান বলছে, সেই বছর মোট ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সাহায্য পেয়েছিল বাইডেনের কমিটি।
বিমান পরিষেবা সংস্থা বোয়িং ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সুবাদে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক সাহায্য করেছে উদ্বোধনী কমিটিকে। একই পরিমাণ আর্থিক সাহায্য করেছে গুগল, অ্যাপেলের মতো সংস্থাগুলিও।
কিন্তু কোটি কোটি টাকা দিয়েও কিন্তু মিলছে না ট্রাম্পের অনুষ্ঠানের ভিআইপি পাস। কাড়ি কাড়ি টাকা ঢেলেও ট্রাম্পের অনুষ্ঠানের ভিআইপি টিকিট পাননি বহু ব্যবসায়ী, উঠছে এমন অভিযোগও।
ট্রাম্পের শপথগ্রহণের সাক্ষী থাকবেন জয়শঙ্কর
আমেরিকার ৪৭ তম রাষ্ট্রপতির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতের তরফ থেকে প্রতিনিধি হিসাবে যাবেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ট্রাম্পের ডাকে সাড়া দিয়েই সেদেশে পাড়ি দেবেন তিনি। সফরে গিয়ে শপথের মাঝে এক দফা বৈঠকও সেরে নেবেন নতুন সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গেও, এমনটাই খবর বিদেশমন্ত্রক সূত্রে।
থাকবেন আর কোন কোন বিশ্বনেতারা?
ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে জাঁকজমকের কোনও কমতি নেই। দেশের নতুন রাষ্ট্রপতিকে আর কয়েক দিনের মধ্যেই বরণ করে নেবে জনগণ। আন্তর্জাতিক ময়দানে ট্রাম্প পুরনো খেলোয়াড় হলেও তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান থেকে অনুষ্ঠান থেকে কোনও ভাবেই নিজেদের বিরত রাখতে চান না বিশ্বনেতারা। আর সেই বিষয়টি খুব ভাল করেই জানেন এই সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাই বছর বছর ধরে চলা রীতিকে ভেঙেই বিশ্বনেতাদের দুয়ারে আমন্ত্রণ পত্র পাঠিয়ে দেন তিনি। ব্যক্তিগতভাবে আসার জন্যও আর্জি জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রনেতাকেও। যার মধ্যে অন্যতম চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।