মস্কো: ইউক্রেনের সঙ্গে ২ বছরের বেশি সময় ধরে লড়াই চলছে রাশিয়ার। সেই লড়াইয়ে ইউক্রেনকে সমর্থন জানিয়েছে পশ্চিমী দুনিয়ার একাধিক দেশ। রাশিয়ার উপর ক্রুজ মিসাইল হানা নিয়ে ইউক্রেনকে সবুজ সংকেত দিতে পারে আমেরিকা ও ব্রিটেন। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই এবার হুঁশিয়ারি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রীতিমতো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তাদের উপর মিসাইল হানা হলে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে রাশিয়া।
বুধবার রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক করেন পুতিন। সেখানে তিনি জানান, কোনও পরমাণু শক্তিধর দেশের সমর্থনে যদি কোনও দেশ রাশিয়ায় হামলা চালায়, তবে তাঁরা সেটি যৌথ হামলা বলে ধরে নেবেন। সেক্ষেত্রে তাঁরা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবেন।
ইউক্রেনকে ক্রুজ মিসাইল দিয়েছে ব্রিটেন। সেগুলি রাশিয়ায় হামলা চালাতে ব্যবহার করা নিয়ে জল্পনা বেড়েছে। গত সপ্তাহে আমেরিকা যান ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। একটি রিপোর্ট বলছে, দুই রাষ্ট্রনেতা রাশিয়ার মাটিতে ইউক্রেনের হামলা নিয়ে আলোচনা করেন। আবার কয়েকদিন আগেই আমেরিকা সফরে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে তিনি তুলে ধরেন, ইউক্রেনের দ্রুত এবং নিরবিচ্ছিন্ন সামরিক সাহায্য প্রয়োজন। ইউক্রেনে কামানের গোলা তৈরি বাড়িয়েছে আমেরিকা।
এদিকে, বুধবারই রাশিয়ার সেনার হাত থেকে ভবচানস্কে একটি কেমিক্যাল প্ল্যান্ট পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেনের সেনা। গত কয়েকমাস ধরে এই প্ল্যান্টটি দখল করে রেখেছিল রাশিয়ার সেনা।
এই পরিস্থিতিতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে পশ্চিমী দুনিয়াকে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন। তথ্য বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে রাশিয়ার কাছে। বিশ্বের পারমাণবিক অস্ত্রের ৮৮ শতাংশ রয়েছে আমেরিকা ও রাশিয়ার কাছে। কূটনীতিকরা বলছেন, ইউক্রেনকে যুদ্ধে সাহায্য করলে তার পরিণাম যে ভাল হবে না, তা আগেভাগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে রাখলেন পুতিন।