ওয়াশিংটন: আমেরিকা তথা পশ্চিমী শক্তিধর দেশগুলির উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যে সে হুমকি নয়, একেবারে পরমানু যুদ্ধের হুমকি দিয়ে রেখেছেন পুতিন। জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও দেশ যদি রাশিয়ার স্ট্রাইকিং দূরত্বের মধ্যে সেনা পাঠায়, তাহলে রাশিয়া পরমানু অস্ত্র দিয়ে হামলা করবে। যদিও পুতিনের এই হুমকিকে মোটেই গুরুত্ব দিচ্ছে না আমেরিকা। বরং পুতিনকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে পাল্টা বিঁধেছে মার্কিন মুলুক। পুতিন যে হুমকি দিয়েছে, তেমন কিছু ঘটনার আশঙ্কাও নেই বলে আশ্বস্ত করেছে আমেরিকা।
সংবাদসংস্থা এএফপিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের স্পোকসপার্সন ম্যাথু মিলার জানিয়েছেন, ‘ভ্লাদিমির পুতিনের মুখে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তৃতা আমরা এই প্রথমবার দেখছি না। পরমানু শক্তিধর একটি দেশের রাষ্ট্রনেতার মুখে এই ধরনের মন্তব্য শোভা পায় না।’ তাঁর আরও সংযোজন, পরমানু অস্ত্র ব্যবহারের পরিণাম কী হতে পারে, তা নিয়ে আমরা অতীতে একাধিকবার রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলেছি। বিশ্ববাসীকে আশ্বস্ত করে ম্যাথু মিলার এও জানিয়েছেন, ‘আমাদের কাছে এমন কোনও ইঙ্গিত নেই যে রাশিয়া কোনও পরমানু অস্ত্র ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেই সময়েই পশ্চিমী শক্তিগুলির উদ্দেশে এই পরমানু হুমকি ছুড়ে দেন পুতিন। যদি কোনও দেশ রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসন ঠেকাতে সেনা পাঠায়, তাহলে ‘ভয়ঙ্কর পরিণামের’ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন পুতিন।
পুতিনের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন অনেকেই। তালিকায় রয়েছেন রাশিয়ার প্রাক্তন কূটনীতিকরাও। যেমন বরিস বনডারেভ। রাশিয়া যেভাবে ইউক্রেনের উপর আগ্রাসন চালাচ্ছে, তার প্রতিবাদে চাকরি ছেড়েছেন তিনি। বরিসের মতে পুতিন যে সব কথা বলছেন তা নতুন কিছু নয়।