মৃত আফগান সন্ত্রাস দমন বাহিনীর এক কর্মীর ভাই সাক্ষাৎকারে বলেন, “অগস্ট মাসেই তালিবানিরা বাড়িতে হানা দিয়েছিল। ওরা আমার ভাইকে তিনবার মাথায় ও একবার বুকে গুলি করেছিল। আমাকেও দুবার বা-কাঁধে ও হাতে গুলি করেছিল। কপাল জোরে আমি কীভাবে বেঁচে গেলাম, জানিনা।কিন্তু আমার ভাইকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।”

অপর এক কর্মীর পরিবারের বয়ান অনুযায়ী, তালিবানরা খুন করার আগে তাদের হাতের সমস্ত নখও উপড়ে নিয়েছিল। তবে হত্যালীলা চালিয়েই থামেনি তারা, গোপন নথি হাতিয়ে নিতে আফগানিস্তানের সন্ত্রাস দমন বাহিনীর প্রধান কার্যালয় থেকে যাবতীয় নথি ও ল্যাপটপও নিয়ে গিয়েছে।

ওই গোপন নথি ও ল্যাপটপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকেই এনডিএসের কর্মীদের খুঁজে বের করছে তালিবান এবং তাদের নৃশংসভাবে খুন করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এনডিএসের কর্মী কিনা, তা জানতে ব্রিটিশদের কথা বার্তা অনুকরণে ফোন করছে তারা। নিজেদের ব্রিটিশ দূতাবাসের কর্মী বলে পরিচয় দিচ্ছে এবং আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। যে সমস্ত কর্মীই এই ফাঁদে পা দিচ্ছে, তাঁদের বাড়ি গিয়ে খুন করা হচ্ছে। পরিবারের কেউ বাধা দিলে তাদেরও গুলি করে খুন করা হচ্ছে।

চলতি মাসের শুরুতেই এক মহিলা পুলিশকর্মীকে পরিবারের সামনেই খুন করে করে তালিবান। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা আট মাসের গর্ভবতী ছিলেন। ঘোর প্রদেশের ফিরোজ়কোহ শহরের বাসিন্দা বানু নেগার নামক ওই পুলিশকর্মী স্থানীয় একটি জেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পরিবারের দাবি, স্বামী ও দুই সন্তানের সামনেই গুলি করে খুন করা হয় ওই মহিলা পুলিশকর্মীকে। বন্দুক ও স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে মুখও সম্পূর্ণরূপে থেতলে দেওয়া হয়।

এর আগে এক সমকামী যুবককেও দেখা করার টোপ দিয়ে খুন করে তালিবানরা। নতুন সরকারের বিরুদ্ধে মিছিল বের করায় মহিলাদের বেত্রাঘাতও করে তালিবান। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার মুখপাত্র রবিনা শামদাসানিও জানান, তালিবান বিরোধী মিছিল বের করায় কমপক্ষে চারজন আন্দোলনকারীকে খুন করেছে তালিবান।

আরও পড়ুন: ৩ সন্তান চেয়ে রয়েছে মুখের দিকে, দুরু দুরু বুকেই বিমানবন্দরে যাত্রীদের স্বাগত জানাচ্ছে রাবিয়া