India USA Tariffs: ‘শুল্ক ছাড়া আমেরিকা গরিব…’, ট্রাম্পের ‘ক্ষমতা’ রক্ষায় সুপ্রিম কোর্টে প্রশাসন
USA on Legality of Tariffs: ওই নিম্ন আদালতের রায়কে স্থগিত করার জন্য শীর্ষ আদালতের কাছে জরুরি ভিত্তিতে আর্জি জানিয়েছেন সলিসিটর জেনারেল জন সৌর। আদালতে জমা দেওয়া মামলা পত্রে সলিসিটর জেনারেল জানিয়েছেন, "এই রায় ইউক্রেনে শান্তির জন্য আমাদের প্রচেষ্টা বাধা তৈরি করবে।"

নয়াদিল্লি: শুল্ক চাপিয়ে আদালতে ফাঁপড়ে ট্রাম্প প্রশাসন। রেহাই পেতে দ্বারস্থ হল মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে। সম্প্রতি ট্রাম্পের ‘এক্তিয়ার’কে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে আমেরিকার ফেডারেল আপিল আদালত। একজন প্রেসিডেন্ট কি আদৌ বিভিন্ন দেশের উপর শুল্কের খাঁড়া ফেলতে পারেন কি না সেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বিচারকরা। এমনকি, ট্রাম্পের প্রশাসনের আচরণ বৈধ নাকি অবৈধ? সেই নিয়ে চলেছে যুক্তি, পাল্টা যুক্তি। তারপরেই বড় নির্দেশ।
বিভিন্ন দেশের উপর ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তকে ৭-৪ ভোটে ‘বেআইনি’ বলে মনে করছেন ফেডারেল সার্কিট আদালতের বিচারকরা। তাদের কথায়, ১৯৭৭ সালের আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা আইনের ভিত্তিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের শুল্ক চাপানোর কোনও অধিকারই নেই। এরপরই শুল্ক সরাতে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত ট্রাম্পের প্রশাসনকে সময় বেঁধে দেয় আদালত। সেই সময়কে কাজে লাগিয়ে মার্কিন সময় অনুযায়ী বুধবার সুপ্রিম কোর্টে ছুটল মার্কিন প্রশাসন।
আপিল আদালতের রায়কে স্থগিত করার আবেদন জানিয়ে আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ প্রশাসন। তাদের দাবি, এই রায় প্রশাসনকে অন্য দেশগুলিতে বাণিজ্যিক দর কষাকষির ক্ষেত্রে ‘ব্যাকফুটে’ ফেলবে। মার্কিন সলিসিটর জেনারেল জন সৌর সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া মামলাপত্রে জানিয়েছেন, “এই রায় ইউক্রেনে শান্তির জন্য আমাদের প্রচেষ্টা বাধা তৈরি করবে।”
তাঁর আরও যুক্তি, “শুল্ক ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গরিব দেশে পরিণত হবে। দেশের প্রতিরক্ষা থেকে শিল্প খাতে ১২০০ কোটি মার্কিন ডলারের ঘাটতি তৈরি হবে। এক বছর আগেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি মৃত দেশ ছিল, আর এখন দেখুন! যে সকল দেশগুলি এতদিন আমাদের উপর বাণিজ্য়িক নির্যাতন চালিয়েছে, তাদেরই টাকায় আমরা আবার শক্তিশালী হয়ে উঠেছি।”
