মস্কো: সুঠাম দেহ। বয়স ৩৯ বছর। এখনও বিয়ে করেননি। কিন্তু, এখনই নাকি ১০০ শিশুর বায়েলজিক্যাল বাবা তিনি। এমনই দাবি করলেন টেলিগ্রামের সিইও পাভেল দুরভ। টেলিগ্রামে নিজের ৫.৭ মিলিয়ন সাবক্রাইবারের সঙ্গে একথা শেয়ার করেছেন। রাশিয়ার এই অন্ত্রপ্রনর বললেন, “আমি জানতে পেরেছি আমার একশোর বেশি বায়েলজিক্যাল সন্তান রয়েছে।” নিজের ডিএনএ প্রকাশ্যে আনার চিন্তাভাবনা করছেন। যাতে তাঁর সন্তানরা পরস্পরকে খুঁজে বের করতে পারেন।
যিনি বিয়ে না করে একা থাকতে পছন্দ করেন, তিনি কী করে একশো সন্তানের বাবা হলেন? নিজেই এই প্রশ্ন তুলেছেন দুরভ। তবে উত্তরও দিয়েছেন তিনিই। তাঁর বায়োলজিক্যাল বাবা হওয়ার নেপথ্য কাহিনি শুনিয়েছেন। দুরভ বলেন, বছর পনেরো আগে তাঁকে এক অদ্ভুত প্রস্তাব দেন এক বন্ধু। ফার্টিলিটির সমস্যার জন্য বন্ধু ও তাঁর স্ত্রী সন্তানের জন্ম দিতে পারছিলেন না। সেইসময় ওই বন্ধু তাঁকে একটি ক্লিনিকে গিয়ে শুক্রাণু দান করার কথা বলেন। যাতে বন্ধু ও তাঁর স্ত্রী সন্তানের বাবা-মা হতে পারেন। প্রথমে কথাটা হেসে উড়িয়ে দেন দুরভ। কিন্তু, বন্ধুকে দেখে বোঝেন যে ইয়ার্কি করছেন না।
প্রথমবার শুক্রাণু দান করতে গিয়ে দুরভ জানতে পারেন, উচ্চমানের শুক্রাণু খুবই কম পাওয়া যায়। এবং আরও দম্পতিকে সন্তান-সুখ দিতে নাম গোপন রেখে শুক্রাণু দান করা উচিত। তারপর থেকে শুক্রাণু দান শুরু করেন দুরভ। তিনি বলেন, “আমার অতীতে দান করা শুক্রাণু থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১২টি দেশের একশোর বেশি দম্পতির সন্তান হয়েছে। আমি অনেকদিন শুক্রাণু দান বন্ধ করেছি। কিন্তু, এখনও অন্তত একটা IVF ক্লিনিকে আমার শুক্রাণু রাখা আছে।”
টেলিগ্রামের সিইও বলেন, তাঁর ডিএনএ প্রকাশ্যে আনার পরিকল্পনা করছেন তিনি। যাতে তাঁর সন্তানরা পরস্পরকে খুঁজে পান। শুক্রাণু দান করে নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন বলেও দুরভ জানান। তাঁর কথায়, “নিজের দায়িত্ব পালন করে আমি গর্বিত। বিশ্বজুড়ে উচ্চমানের শুক্রাণুর সংখ্যা কমছে। স্বাস্থ্যবান পুরুষদের এই কাজে এগিয়ে আসা দরকার।”
টেলিগ্রামের সিইও-র এই পোস্ট এখনও পর্যন্ত ১.৮ মিলিয়ম মানুষ দেখেছেন। তাঁর এই পোস্টের স্ক্রিনশট এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) ছড়িয়ে পড়েছে।