India-Pakistan Relation: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যবসা শুরু হওয়ার সময় এসে গিয়েছে, জল্পনা বাড়ালেন শীর্ষ শিল্পপতি
India-Pakistan: পাকিস্তানের অন্যতম সেরা বাণিজ্যিকর সংস্থা নিশাত গোষ্ঠীর প্রধান মানশা দুবাই থেকে ফোনে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এই কথা জানিয়েছেন।
ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত। বিরোধী দলগুলি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইমরান খানকে দেশের মসনদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। নয়া প্রধানমন্ত্রী পদে পাকিস্তানের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ শপথ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে ভারতের উদ্দেশে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিয়েছিলেন নব নিযুক্ত পাক প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে তারা দুই দেশের বেকারত্ব, অনুন্নয়ন, শিল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কাজ করতে চান, কিন্তু কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থানের কারণে সেই প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের ব্যবসায়িক সম্পর্ক বন্ধ রয়েছে। এবার ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন পাকিস্তানের অন্যতম সেরা শিল্পপতি মিঞা মহম্মদ মানশা। তাঁর মতে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যবসা শুরু হওয়া উচিৎ, এর ফলে দুই দেশেরই উন্নতি হবে।
পাকিস্তানের অন্যতম সেরা বাণিজ্যিকর সংস্থা নিশাত গোষ্ঠীর প্রধান মানশা দুবাই থেকে ফোনে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এই কথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা শুরু হলে, যাবতীয় উন্নতির অনেক সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, “আমি খুব আবেগপ্রবণভাবে অনুভব করছি, ভারতের সঙ্গে আমাদের সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে ফেলা প্রয়োজন। যা সমস্যাই থাক, সেই গুলিকে দূরে সরিয়ে রাখা প্রয়োজন। একবার যদি তীর্থযাত্রা, ভ্রমণ অথবা অন্যান্য ক্ষেত্রে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ শুরু করে, তবে থেকেই অন্যান্য ক্ষেত্রেও দরজা খুলে যাবে।” মানশার মতে, ছোট ছোট ধাপের মাধ্যমেই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করা যাবে এবং সেই কারণে উত্তাপও কমাতে হবে। একই সঙ্গে তিনি পাকিস্তানি অভিনেতাদের জন্য বলিডউের দরজা ও পাক ক্রিকেটারদের জন্য আইপিএলের দরজা খোলার কথা জানিয়েছেন।
চলতি বছরের শুরুতেই এই শিল্পপতিকে পাকিস্তানের বাণিজ্যমহলের সবথেকে প্রভাবশালী মুখ হিসেবে ধরা হয়েছিল। লাহোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের একসভাতেও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চালু নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। ৭৫ বছর বয়সী এই শিল্পপতির বস্ত্র, সিমেন্ট, অটোমোবাইল থেকে শুরু করে নানাবিধ ব্যবসা রয়েছে। তিনি বলেন, সীমান্ত নিয়ে সমস্যা থাকা সত্ত্বেও ভারত ও চিনের মধ্যে যদি বাণিজ্য চলতে পারে, তবে ভারতে পাকিস্তানের মধ্যেও বাণিজ্য হওয়া সম্ভব। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামার জঙ্গি হানার পর, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা বন্ধ। এরপর ওই বছরের অগস্ট মাসে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর, দুই দেশের মধ্যেকরা সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়েছিল।