AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Pakistan-Bangladesh: ভারতের তৈরি করা ‘ঐক্য’ ভাঙতে চায় চিন! পাকিস্তান-বাংলাদেশের সঙ্গে জোট করে নতুন চক্রান্ত

Replacement of Saarc: সেই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মূলত সার্কের আওতাভুক্তকে রাষ্ট্রগুলিকেই সেই বৈঠকে যোগদানের জন্য ডেকেছিল চিন। ভারত ও সার্ককে পেরিয়ে নতুন আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী তৈরি করতেই বসেছিল আলোচনা।

Pakistan-Bangladesh: ভারতের তৈরি করা 'ঐক্য' ভাঙতে চায় চিন! পাকিস্তান-বাংলাদেশের সঙ্গে জোট করে নতুন চক্রান্ত
ইউনূস, শি জিনপিং, শেহবাজ শরিফ (বাঁদিক থেকে ডানদিকে)Image Credit: Getty Image | PTI
| Updated on: Jun 30, 2025 | 3:34 PM
Share

নয়াদিল্লি: ইউনূস জমানার শুরু থেকেই পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি হচ্ছিল বাংলাদেশের। এবার তাদের সঙ্গেই জোট পাকালো পদ্মাপাড়ের এই দেশ। তৈরি করল আন্তর্জাতিক স্তরে ‘ভারতবিরোধী’ রোডম্যাপ।

পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউন নামে একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৯ তারিখ চিনের কুনমিংয়ে আয়োজিত একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা। সেই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মূলত সার্কের আওতাভুক্তকে রাষ্ট্রগুলিকেই সেই বৈঠকে যোগদানের জন্য ডেকেছিল চিন। ভারত ও সার্ককে পেরিয়ে নতুন আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী তৈরি করতেই বসেছিল আলোচনা।

উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে ভারত, ভুটান, বাংলাদেশ, মলদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা-সহ মোট সাতটি দেশ মিলে গঠন হয় সার্ক। ওয়াকিবহাল মহল বলে থাকে, দক্ষিণ এশিয়ার কথা ভেবেই এই গোষ্ঠী তৈরির প্রস্তাব দেয় ভারত। পরবর্তী এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীতে অষ্টম সদস্য হিসাবে যোগদান করে আফগানিস্তান। ২০১৪ সালে শেষবার নেপালের কাঠমান্ডুতে বৈঠক হয়েছিল সার্কের সদস্যদের। তারপর থেকেই কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে এই গোষ্ঠী। আর সেই কথা মাথায় রেখেই কি ভারতকে এড়িয়ে নতুন গোষ্ঠী তৈরির কথা ভাবছে চিন?

বলে রাখা প্রয়োজন, গত মাসে ঠিকই এমনই আরও একটা বৈঠক করেছিল চিন। সেই সময় বাংলাদেশ ডাক পায়নি। পেয়েছিল শুধুমাত্র পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। সূত্রের খবর, সেই বৈঠক নতুন আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী তৈরি করা নিয়ে আলোচনা না হলেও, আলোচনা হয়েছে চিনের অর্থনৈতিক পথ বর্ধিতকরণের প্রসঙ্গে। জানা গিয়েছে, চিন-পাকিস্তান ইকনমিক করিডর তৈরির জন্য় তালিবানদের সঙ্গে সম্পর্কের মারপ্যাঁচ ঠিক রাখতে চান শি জিনপিং। সেই কথা মাথায় রেখেই আয়োজিত হয়েছিল ওই বৈঠকটি।