India’s Stand in UN: রাশিয়া বা ইউক্রেনের পক্ষ নয়, রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভোটদানে বিরত থাকার আসল কারণ জানাল ভারত
Russia-Ukraine Conflict: রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরমূর্তি বলেন, "ইউক্রেনে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকেই ভারত শান্তি, আলোচনা ও কূটনীতির পক্ষেই কথা বলেছে। আমরা বিশ্বাস করি যে রক্তক্ষয় করে ও নিরাপরাধ মানুষদের প্রাণহানি করে কোনও সমাধান সূত্রে পৌঁছানো যায় না।"
নয়া দিল্লি: রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদ (United Nation’s Human Rights Council) থেকে বরখাস্ত করা হল রাশিয়া (Russia)। ইউক্রেনের (Ukraine) যুদ্ধের জেরেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদস্য দেশগুলি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাশিয়াকে সাসপেন্ড করার পক্ষে ভোট দেয় ৯৩টি দেশ।বিপক্ষে ভোট দিয়েছে চিন-সহ মোট ২৪টি দেশ। অন্যদিকে ভোটদান থেকে বিরত থাকল ৫৮টি দেশ। তালিকায় রয়েছে ভারতও (India)। আর ভারতের এই সিদ্ধান্ত নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। ইতিমধ্যেই মার্কিন কংগ্রেসের তরফে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। তবে ভারতের ভোটদান থেকে বিরত থাকার সপক্ষে যুক্তিও দিয়েছে।
বুচার যে গণহত্যার চিত্র উঠে এসেছে, তারপরই রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদ থেকে রাশিয়াকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই এই বিষয়ে ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে ভারত। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সিদ্ধান্তের সপক্ষে ভারতের তরফে বলা হয়েছে, “আমরা প্রক্রিয়া ও বিষয়বস্তু-দুটির উপর ভিত্তি করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরমূর্তি বলেন, “ইউক্রেনে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকেই ভারত শান্তি, আলোচনা ও কূটনীতির পক্ষেই কথা বলেছে। আমরা বিশ্বাস করি যে রক্তক্ষয় করে ও নিরাপরাধ মানুষদের প্রাণহানি করে কোনও সমাধান সূত্রে পৌঁছানো যায় না। যদি ভারত কোনও পক্ষ নেয়, তবে তা হল শান্তির পক্ষ। দ্রুত যাতে এই হিংসা শেষ হয়, তারই পক্ষে আমরা।”
টিএস তিরুমূর্তি আরও বলেন, “ইউক্রেনে ক্রমশ যে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে, তা নিয়ে আমরা এখনও উদ্বিগ্ন। আমরা চাই দ্রুত সংঘর্ষ শেষ হোক। যখন নিরাপরাধ মানুষদের জীবন নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হয়, তখন কূটনীতিই একমাত্র উপায় হয়ে দাঁড়ায়।”
এর আগে চলতি সপ্তাহেই ইউক্রেনের বুচায় হত্যালীলার সমালোচনা করে ভারতের তরফে বলা হয়, “সম্প্রতি বুচায় যে নাগরিক হত্যার খবর পাওয়া গিয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা এই হত্যালীলার তীব্র নিন্দা করছি এবং নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্তের ডাক দিচ্ছি।”
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine Conflict: ইউক্রেনে যুদ্ধ, রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদ থেকে সাসপেন্ড রাশিয়া