AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Covid-19: কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরেও প্রাণঘাতী মস্তিষ্কের অসুখে আক্রান্ত হতে পারেন

Prayan diseases: যখন দেহের প্রায়ান নামক প্রোটিনটি বিভিন্ন কোষে অস্বাভাবিক মাত্রায় পাওয়া যায় এবং মস্তিষ্কে জমাট বেঁধে যায়, সেটিকে প্রায়ান রোগ বলে। এর ফলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। এর ফলে স্মৃতিভ্রংশ হতে পারে, ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন ঘটতে পারে এবং হাঁটা-চলাতেও সমস্যা হয়।

Covid-19: কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরেও প্রাণঘাতী মস্তিষ্কের অসুখে আক্রান্ত হতে পারেন
কোভিডের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রেন।Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2023 | 12:35 AM
Share

নিউ ইয়র্ক: কোভিড-১৯ (Covid-19) বর্তমানে আর পাঁচটা সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো হয়ে উঠেছে। কোভিড নিয়ে আতঙ্কও অনেক কেটে গিয়েছে। কিন্তু, করোনা ভাইরাস একবার দেহে প্রবেশ করলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি করে দেয়। যা ভবিষ্যতে প্রাণ সংশয়ের কারণ পর্যন্ত হতে পারে। এবার এক নতুন ঘটনা প্রকাশ্যে এল। ভয়াবহ প্রায়ান রোগেরও কারণ হতে পারে করোনা ভাইরাস। সম্প্রতি মার্কিন মুলুকে এক ব্যক্তির প্রাণঘাতী প্রায়ান রোগের কারণ খুঁজতে গিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সেই ঘটনাটি আমেরিকান জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

প্রায়ান রোগ কী?

যখন দেহের প্রায়ান নামক প্রোটিনটি বিভিন্ন কোষে অস্বাভাবিক মাত্রায় পাওয়া যায় এবং মস্তিষ্কে জমাট বেঁধে যায়, সেটিকে প্রায়ান রোগ বলে। এর ফলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। এর ফলে স্মৃতিভ্রংশ হতে পারে, ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন ঘটতে পারে এবং হাঁটা-চলাতেও সমস্যা হয়। ধীরে-ধীরে ব্যক্তি মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েন।

আমেরিকান জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই কুইন্স হসপিটাল সেন্টারে ভর্তি হয়েছিলেন ৬২ বছর বয়সি এক বৃদ্ধ। তাঁর মূলত হাঁটতে সমস্যা হচ্ছিল এবং স্মৃতিভ্রংশের প্রবণতা বাড়ছিল। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর স্নায়বিক সমস্যা শুরু হয় বলে চিকিৎসায় ধরা পড়েছে। তারপর তাঁর শরীরের নানান পরীক্ষা করে জানা যায়, তিনি প্রায়ান রোগে আক্রান্ত।

নিউ ইয়র্কের ওই ব্যক্তি প্রায় ৬ সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু, চিকিৎসকরা বহু চেষ্টা করেও তাঁকে সুস্থ করে তুলতে পারেননি। হাসপাতালে ভর্তির ৩ সপ্তাহ পর ওই ব্যক্তির কথা বলা বন্ধ হয়ে যায় এবং তরল খাবার খাওয়াও দুষ্কর হয়ে ওঠে। টিউবের মাধ্যমে তাঁকে খাওয়াতে হয়। তারপর তাঁর দেহে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। প্রায় ৬ সপ্তাহ পর তাঁর মৃত্যু হয়।

এই ব্যক্তির মেডিক্যাল রিপোর্টে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের স্নায়বিক অবস্থার হেরফের হওয়ার একটি সম্ভাব্য সম্পর্ক কারণ হল করোনা ভাইরাস। যদিও এব্যাপারে প্রমাণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ব্রেন ফগ, চুল পড়ে যাওয়া-সহ স্নায়বিক বিভিন্ন হেরফেরের কারণ করোনা ভাইরাস বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।