Cancer Disease: রোগটার নাম ‘ক্যানসার’ হল কেন? কারণটা ঠিক কী
Cancer Disease: জানা যায়, ওই খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ বা পঞ্চম শতক থেকেই এই ক্যানসার নামের উৎপত্তি। প্রাচীন গ্রিসে কাঁকড়াকে বলা হত কারকিনোস। সেই সময় চিকিৎসকরা এই রোগকে কারকিনোস বলেই উল্লেখ করতেন।
নয়া দিল্লি: রোগটার নাম শুনলে যেন কেঁপে ওঠে শরীর। ক্যানসার নামক ব্যাধিকে পরাস্ত করতে মাঝে মধ্যে চিকিৎসা বিজ্ঞানও হিমশিম খেয়ে যায়। ক্যানসার শব্দটার আক্ষরিক অর্থ হল কাংড়া। কোনও বিজ্ঞানভিত্তিক নাম না দিয়ে, কেন এমন এক প্রাণীর নামে নামকরণ করা হল ক্য়ানসারের? প্রশ্ন করেন অনেকেই। এই নামটা কিন্তু নতুন নয়, বহু বহু বছর ধরে এই নামটাই ব্যবহার করে আসছেন চিকিৎসকেরা।
ঠিক কবে থেকে থাবা বসাতে শুরু করেছিল এই রোগ? জানা যায়, খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে এই রোগ প্রথম ধরা পড়ে। এক ব্যক্তি এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ৬৫ বছর বয়সে মারা যান সেই সময়। সেই সময়কার কোনও কোনও নথিতে এই রোগকে মহিলাদের রোগ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। মনে করা হয় স্তন ক্যানসারকেই সেখানে ক্যানসার বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
জানা যায়, ওই খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ বা পঞ্চম শতক থেকেই এই ক্যানসার নামের উৎপত্তি। প্রাচীন গ্রিসে কাঁকড়াকে বলা হত কারকিনোস। সেই সময় চিকিৎসকরা এই রোগকে কারকিনোস বলেই উল্লেখ করতেন। আর এই কাঁকড়াকেই ল্যাটিনে বলা হত ক্যানসার। তাই ল্যাটিনভাষী চিকিৎসকরা এই নামে ডাকতে শুরু করেন ওই মারণরোগকে। সেই নামই রয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হয়।
ব্যাখ্যা হিসেবে কেউ কেউ বলেন, এই রোগের সঙ্গে কাঁকড়ার মিল আছে। কাঁকড়া যেমন শরীরে কোনও অংশ চেপে ধরতে পারে, আর ছাড়ানোও কঠিন হয়, এই রোগও সেরকমই হয়। গ্যালেন নামে এক চিকিৎসক মূলত স্তন ক্যানসারের জন্য এই রোগের নাম ক্যানসার বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন। ঠিক যেমন কাঁকড়ার চারদিকে পা আছে, তেমনভাবেই স্তন ক্যানসারের বৃদ্ধি হয়। সেই কারণেই এই নাম বলে মনে করেন কেউ কেউ।