Donald Trump on Nuclear Warhead: পরমাণু-যুদ্ধের ‘প্রাক্কাল’? রাশিয়ার সাফল্য ‘দেখে’ ৩৩ বছরের চুক্তি ভাঙলেন ট্রাম্প
America to Detonate Nuclear: শেষবার ১৯৯২ সালে পরমাণু বোমা পরীক্ষা করেছিল আমেরিকা। তারপর ওই বছরই সরকারি ভাবে পরমাণু পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় তাঁরা। এরপর ১৯৯৬ সালে পরমাণু পরীক্ষা নিষিদ্ধ চুক্তি স্বাক্ষর করে আমেরিকা। সেই থেকে পরমাণু পরীক্ষা বন্ধ রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যা নতুন করে শুরু হতে চলেছে ৩৩ বছর পর।

নয়াদিল্লি: ৩৩ বছর পর আমেরিকার বুকে হতে চলেছে পরমাণু বোমা পরীক্ষা। ইতিমধ্য়েই সেদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে পরীক্ষা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের সমাজমাধ্যমেও সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই এই পরীক্ষার অর্থ কী? নতুন কোনও কৌশল তৈরি করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট? সেই প্রশ্নগুলিই উড়ে বেড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলে।
ট্রাম্পের এই পোস্ট গতমাসের শেষের দিকের। তিনি নিজের সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্য়ালে দাবি করেছিলেন, ‘এই বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সবচেয়ে বেশি পরমাণু বোমা রয়েছে। আমাদের পরেই এই তালিকায় নাম রয়েছে রাশিয়া ও চিনের। বিশ্বজুড়ে এই পরিস্থিতিতে সবাই পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালাচ্ছে। তাই আমি প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছি পরমাণু পরীক্ষা শুরু করার।’
Donald J. Trump Truth Social Post 09:04 PM EST 10/29/25 pic.twitter.com/v9JnWbQY2r
— Commentary Donald J. Trump Posts From Truth Social (@TrumpDailyPosts) October 30, 2025
এই দাবির পর কেটে গিয়েছে প্রায় অনেকটা দিন। ট্রাম্প কি পরমাণু বোমা পরীক্ষা করলেন? কিংবা পরমাণু বোমা ছাড়াও কি অন্য কোনও শক্তিধর অস্ত্র পরীক্ষা করতে চলেছেন তিনি? এই সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া থেকে একটু বিরত থাকছেন ট্রাম্প। শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলিকে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি এই নিয়ে এখন কিছু বলতে চাই না। তবে আশ্বস্ত করতে পারি যে অন্য সকল দেশগুলি ঠিক যে ভাবে পরমাণু পরীক্ষা করে, আমরাও সেই ভাবেই করব।’
শেষবার ১৯৯২ সালে পরমাণু বোমা পরীক্ষা করেছিল আমেরিকা। তারপর ওই বছরই সরকারি ভাবে পরমাণু পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় তাঁরা। এরপর ১৯৯৬ সালে পরমাণু পরীক্ষা নিষিদ্ধ চুক্তি স্বাক্ষর করে আমেরিকা। সেই থেকে পরমাণু পরীক্ষা বন্ধ রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যা নতুন করে শুরু হতে চলেছে ৩৩ বছর পর। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, গত মাসে ট্রাম্পের করা এই ঘোষণা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি যেদিন অর্থাৎ ৩০ অক্টোবর পরমাণু পরীক্ষার কথা ঘোষণা করেছিলেন, তার এক সপ্তাহ আগেই একটি পরমাণু মিসাইল পরীক্ষা সাফল্য অর্জন করে রাশিয়া।
