নয়া দিল্লি: আগামী ১ ফেব্রুয়ারিই কেন্দ্রীয় বাজেট (Budget 2022)। করোনা অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশের অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, সেই মুহূর্তেই আসন্ন বাজেটে করদাতাদের জন্য বড় ঘোষণা করতে পারেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। আসন্ন বাজেটে অর্থমন্ত্রী বিদেশে ঋণ বিনিয়োগকারীদের জন্য মূলধনে কর মকুবের প্রস্তাব দিতে পারেন, এমনটাই সরকারি সূত্রে খবর। যদি কেন্দ্রের তরফে এই পদক্ষেপ করা হয়, তবে বিশ্বের বাণিজ্যিক মঞ্চে ভারতেরও পাকাপাকি জায়গা তৈরি হয়ে যাবে।
বৈশ্বিক বন্ডে ছাড় ও তার জেরে ভারতীয় ঋণদাতা সংস্থাগুলিতে এক আর্থিক গতি আসবে, যা এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। বৈশ্বিক বন্ডে অন্তর্ভুক্তির পরই বিদেশে বসবাসকারী বিনিয়োগকারীরা নির্বাচিত কিছু সার্বভৌম ক্ষেত্রে বিনিয়োগ শুরু করবে বলে অনুমান। আগামী এক দশকে আনুমানিক ২৫০ কোটি ডলার অবধি বিনিয়োগ হতে পারে এবং ভারতের ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে ৫০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি হতে পারে।
ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ সেটেলমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ইউরোক্লিয়ারের প্রধান সুদীপ চ্যাটার্জি বলেন, “যদি প্রতিটি বন্ড কেনাবেচা বা লেনদেনের উপর মূলধনী লাভের কর প্রয়োগ করা হয়, তবে এটি বাজারের আর্থিক গতিকে বাধাগ্রস্ত করবে” তাঁর মতে, দেশে বিনিয়োগ ও আর্থিক গতি বাড়াতে এই পুরনো মডেলকে পরিবর্কম করতে হবে এবং এমন একটি নতুন ম়ডেল তৈরি করতে হবে যা ধাপে ধাপে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে সাহায্য করে।
যদি বিদেশে বসবাসকারী কোনও বিনিয়োগকারীর তালিকাভুক্ত বন্ড ১২ মাসের মধ্যে বিক্রি হয়ে যায়, তবে তাকে স্বল্পমেয়াদী একটি মূলধন কর দিতে হয়। বিনিয়োদের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে এই করের পরিমাণ ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করে। যদি মূলধনে লাভের উপর থেকে ঋণের যাবতীয় দায়ভার তুলে নেওয়া হয়, তবে সবথেকে সহজ পদ্ধতিতে ভারতকে ইউরোক্লিয়ারের তালিকাভুক্ত করা সম্ভব। তবে অর্থমন্ত্রকের তরফে এই বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
স্বল্পমেয়াদী মূলধন লাভের উপর থেকে দায়বদ্ধতায় ছাড়, ভারতীয় সূচককে বিশ্ব বন্ড তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বাধা দূর করতে সহায়তা করবে। কারণ, ইউরোক্লিয়ারের মতো প্ল্যাটফর্মগুলি বিদেশী তহবিল থেকে প্রাপ্ত এই জাতীয় কর গণনা করতে পারে না। ইউরোক্লিয়ার বর্তমানে ৪৯টি দেশে পরিচালন করে।
আরও পড়ুন: Budget 2022: আকাশপথেও বসেছে করোনার থাবা, আসন্ন বাজেট থেকে কী আশা করছে উড়ান শিল্প?