নয়া দিল্লি: এটাই ‘অমৃতকালে’র প্রথম বাজেট (Union Budget 2023)। বাজেট পেশ করার শুরুতে এ কথা বলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharama)। তিনি জানান, স্বাধীনতার ১০০ তম বর্ষে ভারতের অর্থনীতি কোথায় পৌঁছবে, তারই ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছে এবারের বাজেটে। গত অর্থবর্ষে দেশের অর্থনীতি কোন পথে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সেই বর্ণনা যখন সীতারামন করছিলেন, সেই সময় বিরোধীদের স্লোগান শোনা যায় সংসদে। কংগ্রেস সাংসদেরা সংসদের মধ্যেই ‘ভারত জড়ো’, ‘ভারত জড়ো’ স্লোগান দিতে শুরু করেন।
গত বছরই ‘ভারত জড়ো’ যাত্রা শুরু করে কংগ্রেস। দেশের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে গিয়ে জনসংযোগের উদ্দেশেই এই যাত্রা করা হয়। বেকারত্ব, মূল্য বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবি নিয়ে পথে নেমেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ইতিমধ্যেই সেই যাত্রা শেষ হয়েছে। বাজেটের দিন সেই কর্মসূচির স্লোগান তোলা হয়েছে সংসদে।
ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন বিরোধীরা। মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও অভিযোগ তোলা হয়েছে বিরোধী দলগুলির তরফে। এদিন অর্থমন্ত্রী শুরুতেই অর্থনৈতিক অবস্থার কথা বলতে গিয়ে উল্লেখ করেন, করোনা পরিস্থিতি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে কীভাবে ধাক্কা খাচ্ছে অর্থনীতি।
আগামী বছরেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এবছরই শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করছে মোদী সরকার। তাই এবারের বাজেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে অর্থনীতিবিদরা। বাজেটের শুরুতেই মহিলাদের উন্নয়ন, পিছিয়ে পড়া শ্রেণি, কৃষকদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।