Budget 2022: সিগারেট ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমাতে কর বাড়াবে কেন্দ্র?

TV9 Bangla Digital | Edited By: অরিজিৎ দে

Jan 28, 2022 | 2:14 PM

Budget 2022: ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক তা আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাজেটে যদি সিগারেটের ওপর বাড়তি কর বসানো হয় তবে তা ধূমপায়ীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।

Budget 2022: সিগারেট ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমাতে কর বাড়াবে কেন্দ্র?
গ্রাফিক্স: টিভি৯ বাংলা

Follow Us

ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক তা আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাজেটে যদি সিগারেটের ওপর বাড়তি কর বসানো হয় তবে তা ধূমপায়ীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করতে তামাকের ওপর কর বসানোর পথে বারবার হেঁটেছে সরকার। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা ডাঃ রিজো জন দীর্ঘদিন ধরেই সাধারণ মানুষের তামাক বর্জনের দাবিতে সরব হয়ে এসেছেন। টিভি৯ বাংলার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানিয়েছেন কী করা উচিৎ…

বাজেটের আগেই তামাকের ওপর কর বাড়ানো নিয়ে জল্পনা

বিগত চার বছর ধরে তামাকের ওপর বাড়তি কর বসায়নি কেন্দ্র। জিএসটি চালু হওয়ার আগে থেকে প্রত্যেক বছরই তামাকের ওপর কর বসানো হতো। ২০০৯-২০১০ এবং ২০১৬-২০১৭ সালে হওয়া দুটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে তামাকের ওপর কর বাড়ালে তামাকের ব্যবহার কমে। ওই সমীক্ষাতেই আমরা দেখেছিলাম কর বাড়ার ফলে তামাকের ব্যবহার ১৭ শতাংশ কমেছে, তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখা উচিৎ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, সিগারেটের মূল্যের ওপর ৭৫ শতাংশ কর বসানো প্রয়োজন, সেটা ভারতে ৫২ শতাংশ। এই কর বাড়তে পারে এবং বাড়ানো উচিৎ বলেই মনে করছেন রিজো জন। কারণ কর বাড়লেই সিগারেটের দাম বাড়বে তার ফলে ধূমপায়ীদের সিগারেট খাওয়ার প্রবণতা কমবে।

তামাকের ওপর কর বাড়লে কী প্রভাব পড়বে

সিগারেটের ওপর কর বাড়লে তার কী প্রভাব পড়তে পারে? হ্যাঁ এটা সত্যি যে তামাকের ওপর কর বাড়লে তার প্রভাব শুধুমাত্র সিগারেটের ওপরই পড়বে। বিড়ি বা তামাকজাত পানমশলার ওপর এর কোনও প্রভাব পড়বে না। এই অসঙ্গতি সুরাহা করা প্রয়োজন। আমরা মনে করি প্রত্যেকটি বিড়ি দাম ১ টাকা ধার্য করা যেতে পারেই। এই বিষয়ে আফগারি দফতরের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ। এবার আসি সিগারেটের অবৈধ ব্যবসা বৃদ্ধির প্রসঙ্গে। ভারতে সিগারেটের মোট ব্যবসার মাত্র ৫ শতাংশ অবৈধ সিগারেট থেকে হয়। তাই সিগারেটের দামে কর বাড়ানোর ক্ষেত্র নীতি নির্ধারকদের আশঙ্কা এরফলে অবৈধ সিগারেটের ব্যবসা বৃদ্ধি পাবে।

সিগারেট জিএসটির অন্তর্ভুক্ত করা ফলে কী কোনও বদল এসেছে?

সিগারটকে জিএসটির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত স্বাগত জানানোর মত। তবে ২০১৭ সালের আগে জিএসটি বসানোর আগে রাজ্য সরকারগুলি সিগারেটের ওপর কর বাড়িয়েছিল। আর্থিক জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে বারবারই সিগারেট ও মদের ওপর বাড়তি কর বসাতে দেখা গিয়েছে সরকারকে। জিএসটি চালু হওয়ার পরে, যে আবগারি কর আরোপ করা হয়েছিল তা নতুন পরোক্ষ করের সাথে যুক্ত হয়েছিল। দেশে ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান ট্যাক্স’ নীতি চালু হওয়ার পর থেকে সিগারেটের ওপর বাড়ি কর বসাতে পারেনি রাজ্য সরকারগুলি।

যাঁরা তামাক চাষ করে তাদের কী হবে

আমাদের দ্বিমুখী কৌশল থাকা দরকার। একদিকে যেখানে আমরা ধূমপায়ীদের জন্য এটিকে ব্যয়বহুল করে তামাক সংস্থাগুলিকে নিরুৎসাহিত করছি, অন্যদিকে আমাদের তামাক চাষীদের বুঝিয়ে চাষকরা বন্ধ করতে হবে। রাজ্য সরকারগুলির তামাক চাষিদের চাষ ছাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। অনেকে বিড়ির জন্য তেন্দু পাতা সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। জীবিকা নির্বাহের জন্য সম্পূর্ণরূপে এই ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। মনে রাখতে হবে এই মানুষগুলো চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে।

আরও পড়ুন: Punjab Assembly Election: ক্ষমতা দখলের লড়াই শেষ হতে পারে! মুখ্যমন্ত্রী মুখ ঘোষণা নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের 

Next Article