‘অবৈধ নয়’, বলছে RBI, এখনও ২০০০ টাকার নোট থাকলে কী করবেন?
RBI: সম্প্রতিই গত মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, সার্কুলেশনে থাকা ২০০০ টাকার নোটের প্রায় ৯৬ শতাংশই ফেরত এসেছে। তবে প্রচুর ২০০০ টাকা, যার মূল্য ৬১৮১ কোটি টাকা, তা এখনও আরবিআই-র কাছে ফেরত আসেনি।

নয়া দিল্লি: ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ২০২৩ সালে। ২০১৯ সাল থেকেই ছাপানো বন্ধ ২০০০ টাকার নোটের। তবে এখনও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার হাতে সেই সমস্ত নোট ফেরত আসেনি। এখনও ২০০০ টাকার নোট রয়েছে বহু মানুষের কাছে। আপনার কাছেও যদি এই নোট থাকে, তাহলে কী করবেন? এটা কি আপনি দোকানে কেনাকাটি করে খরচ করতে পারবেন?
২০২৩ সালের ১৯ মে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০০০ টাকার নোট বন্ধের ঘোষণা করে। ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় ছিল নোট বদল করে নেওয়ার। যে কোনও ব্যাঙ্কে গিয়েই এই নোট বদল করা যাচ্ছিল। সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কিন্তু ২০০০ টাকার নোট বদলের সুযোগ দিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ১৯টি আঞ্চলিক অফিসে বদলানো যায় ২০০০ টাকার নোট।
সম্প্রতিই গত মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, সার্কুলেশনে থাকা ২০০০ টাকার নোটের প্রায় ৯৬ শতাংশই ফেরত এসেছে। তবে প্রচুর ২০০০ টাকা, যার মূল্য ৬১৮১ কোটি টাকা, তা এখনও আরবিআই-র কাছে ফেরত আসেনি। এই টাকা কোথায় গেল, তার সদুত্তর নেই কারোর কাছে।
বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা অর্থ বিষয়ক সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটিকে জানালেন, ২০০০ টাকার নোট এখন আর সার্কুলেশনে নেই। অর্থাৎ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে এই নোট নতুন করে বাজারে ছাড়া হচ্ছে না। তবে ২০০০ টাকার নোট এখনও অবৈধ হয়ে যায়নি। তা এখনও বৈধ নোট।
রিজার্ভ ব্য়াঙ্ক ২০০০ টাকার নোট অবৈধ ঘোষণা না করলেও, বর্তমানে বাজারে আর এই নোটের চল নেই। যদি কারোর কাছে ২০০০ টাকার নোট থাকে, তবে তিনি তা খরচ করতে পারবেন না। একমাত্র উপায় হল, আরবিআই-র রিজিওনাল অফিসে গিয়ে বা পোস্টের মাধ্যমে আরবিআই-র কাছে সেই নোট পাঠিয়ে, তার পরিবর্তে টাকা পাওয়া।
৫০০ টাকার নকল নোট বাজারে ছড়িয়ে পড়া নিয়েও আপডেট দিয়েছেন আরবিআই-র গভর্নর। তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতিই বিপুল সংখ্যক ৫০০ টাকার নকল নোট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আরবিআই ও সরকার এই ধরনের কার্যকলাপ আটকাতে এবং নকল নোট রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করছে।

