নয়া দিল্লি: বিশ্বের অন্যতম বড় স্বর্ণ আমদানিকারক দেশ ভারত। আন্তর্জাতিক বাজারের মতো দেশীয় বাজারেও স্বর্ণের মূল্য ওঠানামা করে। সোনার দাম নির্ভর করে মুদ্রাস্ফীতির উপর। মুদ্রাস্ফীতি বেশি থাকলে তখন সোনার দাম বাড়তে থাকে, মুদ্রাস্ফীতি কমলে সোনার দামও সাধারণত কম হয়। সোমবার (১৫ অগস্ট), ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস। দেশ স্বাধীন হওয়ার সময়, অর্থাৎ ১৯৪৭ সালে সোনার দাম কত ছিল জানেন? ৭৫ বছরে কতটা দাম বেড়েছে হলদে ধাতুর?
১৯৪২ সালে, যখন মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে প্রায় গোটা দেশ সামিল হয়েছে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে, সেই সময় ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৪৪ টাকা। পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে, অর্থাৎ ১৯৪৭ সালে, সোনার দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছিল। ভারতীয় ডাক বিভাগের স্বর্ণমুদ্রা পরিষেবার তথ্য অনুসারে, সেই সময়ে ১০ গ্রাম সোনার দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৮৮.৬২ টাকা। ৫ বছরে দ্বিগুণ হলেও, সোনার দাম তখনও সেভাবে বাড়েনি। ১৯৪৭ সালে ১০ গ্রাম সোনার যা দাম ছিল, তার থেকে বেশি ছিল দিল্লি থেকে মুম্বই যাত্রার বিমানের একটি টিকিটের দাম।
ভারত স্বাধীন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সোনার দামও বাড়তে শুরু করেছিল। ফলে, যাঁরা স্বাধীনতার আগে থেকে সোনায় বিনিয়োগ করেছিলেন, স্বাধীনতার পর তাঁরা ব্যাপক লাভ করেছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী এক দশকে, অর্থাৎ, ১৯৫০ থেকে ১৯৬০-এর মধ্যে মোটামুটিভাবে ১২ শতাংশের বেশি রিটার্ন পেয়েছিলেন তাঁরা। আর স্বাধীনতার সাত দশক পরে, ১০ গ্রাম সোনার দাম ৩০০ গুণেরও বেশি বেড়েছে। চলতি বছরের জুলাইয়ের শেষে ১০ গ্রাম সোনার দাম পৌঁছেছে ২৮,৫০০ টাকায়। যে মূল্যে বিমানের ইকোনমি ক্লাসে লন্ডন গিয়ে ফিরে আসা যায়।
আসলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মূল্যবান সম্পদ হিসেবে সোনার মূল্য সর্বদাই বৃদ্ধি পেয়েছে। সবচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ বিকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হল সোনা। সোনায় বিনিয়োগ করা থাকলে, মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলা করাও অনেক সহজ হয়।