ভারতে প্রচলিত একটি জনপ্রিয় দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয় প্রকল্প হল পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (Public Provident Fund)। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সঞ্চয় প্রকল্পে বর্তমানে বিনিয়োগকারীরা ৭.১ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। আর এই স্কিমে বিনিয়োগ করে কর ছাড়ের সুবিধাও মিলবে। তবে একাধিক সুবিধার পাশাপাশি এই স্কিমে বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে। তাই প্রকল্পে বিনিয়োগের আগে অবশ্যই বিবেচনা করে দেখা উচিত। এই প্রতিবেদন থেকে দেখে নিন এই স্কিমের অসুবিধাগুলি –
ইপিএফ-র থেকে কম সুদের হার :
পিপিএফ-র সুদের হার এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ট ফান্ডের (ইপিএফ) সুদের হারের চেয়ে কম। বেতনভোগী কর্মচারীরা বেশি রিটার্ন ও কর ছাড়ের জন্য ভলান্টারি প্রভিডেন্ট ফান্ডের (ভিপিএফ) মাধ্যমে ইপিএফে বেশি পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করতে পারেন। বর্তমানে ইপিএফে সুদের হার ৮.১৫% এবং বর্তমানে পিপিএফে সুদের হার ৭.১%। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেতনভোগী কর্মীদের জন্য ইপিএফ বেশী আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
লক-ইন পিরিয়ড:
পিপিএফ-এ ন্যূনতম ১৫ বছরের জন্য টাকা রাখতে হয়। অর্থাৎ, মেয়াদ অনেকটাই বেশি। তাই কম সময়ের জন্য যাঁরা বিনিয়োগের কথা ভাবছেন তাঁদের জন্য এই স্কিম একেবারেই সুবিধাজনক নয়।
বিনিয়োগের সীমা নির্ধারিত:
পিপিএফ-এ এক বছরে সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত রাখতে পারেন কোনও বিনিয়োগকারী। গত কয়েক বছর ধরে এই সীমা বাড়ায়নি সরকার। আর যাঁরা আরও বেশি টাকা সরকারি কোনও স্কিমে বিনিয়োগ করতে চান তাঁদের জন্য আরও ভাল অপশন হল ভিপিএফ। আয়ের থেকে আড়াই লক্ষ টাকা
এই স্কিমে বিনিয়োগ করা যেতে পারে।
মেয়াদপূর্তির আগে টাকা না তোলার কঠোর বিধি:
পিপিএফ-র ক্ষেত্রে মেয়াদমপূর্তির আগে খুব বেশি বার টাকা তোলা যায় না। পাঁচ বছর পর বছরে কেবলমাত্র একবারই টাকা তুলতে পারবেন কোনও বিনিয়োগকারী। এছাড়াও যে বছর অ্য়াকাউন্ট খুলছেন সেবার টাকা তুলতে পারবেন না। আর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার থাকলে নির্দিষ্ট শর্ত দিয়ে অ্য়াকাউন্ট খোলার পাঁচ বছর পরই তা বন্ধ করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে ১ শতাংশ সুদ কেটে নেওয়া হবে।
মেয়াদপূর্তির আগে অ্য়াকাউন্ট বন্ধের অনুমতি নেই:
কেবলমাত্র কয়েকটি শর্তেই পিপিএফ অ্য়াকাউন্ট মেয়াদপূর্তির আগে বন্ধ করতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। শর্তগুলি দেখুন-
অ্যাকাউন্টহোল্ডার, তাঁদের স্ত্রী বা তাঁদের নির্ভরশীল সন্তানদের প্রাণঘাতী অসুস্থতা থাকলে,
অ্য়াকাউন্ট হোল্ডার বা তাঁদের উপর নির্ভরশীল সন্তানদের উচ্চশিক্ষার জন্য
অ্যাকাউন্টহোল্ডারের বাড়ি পরিবর্তন হলে অ্য়াকাউন্ট ৫ বছর পর বন্ধ করা যেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে ১ শতাংশ কর কাটা হবে।