নয়া দিল্লি: এদিনের মতো শেষ হল ৫জি স্পেকট্রাম নিলাম। নিলামের প্রথম দিন মোট চার রাউন্ডের নিলাম পরিচালিত হয়েছে। বুধবার (২৭ জুলাই) থেকে পঞ্চম রাউন্ডের নিলাম শুরু হবে। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই), ৪.৩ লক্ষ কোটি টাকার বিনিময়ে ২০ বছরের জন্য ৭২ গিগাহার্টজ ফাইভজি এয়ারওয়েভ অফার করা হয়। নিলাম শুরু হয় সকাল ১০টায়, চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। রিলায়েন্স জিও, ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া এবং নবাগত আদানি ডেটা নেটওয়ার্ক – এই চারটি সংস্থা এদিনের নিলামে অংশ নিয়েছে। তবে, প্রথমদিন কোনও সংস্থাকেই সর্বস্ব নিয়ে ঝাঁপাতে দেখা যায়নি। প্রতিটি সংস্থাকেই বেশ রক্ষণাত্মক মেজাজে দেখা গিয়েছে। নিলামের প্রথম দিনে দর হাঁকার পরিমাণ ১.৪৫ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। টেলিকম বিভাগের এক সূত্র জানিয়েছে, রেডিওওয়েভের প্রকৃত চাহিদা এবং পৃথক দরদাতাদের কৌশলের উপরই নির্ভর করছে এই নিলাম প্রক্রিয়া কত দীর্ঘ হবে।
নিলামের পর চলতি বছরের অগস্টেই ফাইভজি স্পেকট্রাম বরাদ্দ করা হতে পারে। এর জন্য টেলিকম অপারেটরদের অগ্রিম অর্থপ্রদান করতে হবে না। বকেয়া অর্থ ২০ টি সমান কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। এই নিলাম থেকে প্রায় ৭০ হাজার কোটি থেকে ১ লক্ষ কোটি টাকা আয় হবে বলে আশা করছে সরকার। ফাইভজি প্রযুক্তি ভারতে পরবর্তী প্রজন্মের ডিজিটাল রূপান্তর আনবে বলে মনে করেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। তবে এদিন মোট চার দফা নিলামেও, সেভাবে আগ্রহ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি, নিলামে অংশ নেওয়া সংস্থাগুলিকে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, “ফাইভজি নিলামের চারটি রাউন্ড সম্পন্ন হয়েছে। এখন পর্যন্ত, রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ১,৪৫,০০০ কোটি টাকা। আমাদের এই প্রক্রিয়াটি ১৪ অগস্টের মধ্যে শেষ করতে হবে এবং দেশে ফাইভজি পরিষেবা সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে শুরু হবে।”
প্রত্যাশা মতোই উচ্চ ও মধ্য ওয়েভলেন্থের ব্যান্ডই টেলিকম সংস্থাগুলির মূল লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। ৩৩০০ মেগাহার্টজ এবং ২৬ গিগাহার্টজ-এর ব্যান্ডই সবচেয়ে বেশি দর পেয়েছে। কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী জানিয়েছেন, ৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ড ফ্রিকোয়েন্সির জন্যও দরপত্র পাওয়া গিয়েছে। ৬০০, ৭০০, ৮০০, ৯০০, ১৮০০, ২১০০ এবং ২৩০০ মেগাহার্টজের নিম্ন ফ্রিকোয়েন্সির ব্যান্ড, ৩৩০০ মেগাহার্টজের মধ্য ফ্রিকোয়েন্সির ব্যান্ড এবং ২৬ গিগাহার্টজের উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড স্পেকট্রামের সরবরাহের জন্য এই নিলামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চলতি বছরের শেষ থেকেই দেশের বিভিন্ন শহরে ফাইভজি পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে দাবি করেছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব।