নয়া দিল্লি: অর্থবর্ষ শেষ মার্চ মাসেই। আর মার্চ মাস মানেই ইনক্রিমেন্ট বা বেতন বাড়ার সময়। এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যেই সকলের ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে গিয়েছে বর্ধিত বেতন। ইনক্রিমেন্টের পরই সম্প্রতি একটি সংস্থা থেকে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। তাতে দেখা যায় যে, ১০ জনের মধ্যে ৪ জন কর্মীই চাকরি ছাড়তে চাইছেন। যে ক্ষেত্রগুলির কর্মীরা সবথেকে বেশি কাজ ছাড়তে চাইছেন, তার মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে পরিষেবা, উৎপাদন ও তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্র।
নমন এইচআর নামক একটি ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিং ফার্মের তরফে করা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা পরিষেবা ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত, তাদের মধ্যে ৩৭ শতাংশ কর্মীই চাকরি ছাড়তে চাইছেন। এছাড়া উৎপাদন সংস্থার কর্মীদের মধ্যেও ৩১ শতাংশ কর্মীরাই চাকরি ছেড়ে দিতে চাইছেন।
যদি লিঙ্গ ভিত্তিক বিচার করা হয়, তবে দেখা যাচ্ছে ১০ জন পুরুষের মধ্যে ৬ জনই চাকরি ছেড়ে দিতে চাইছেন বা অন্য কোনও সংস্থায় যোগ দিতে চাইছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রায় ৫০০-রও বেশি সংস্থায় সমীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
সমীক্ষায় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, বেতন বৃদ্ধির হার অত্য়ন্ত কম হওয়াতেই চাকরি ছাড়তে বা বদল করতে চাইছেন কর্মীরা। যে সমস্ত কারণে কর্মীরা কোনও সংস্থা ছাড়তে বা বদল করতে চান, তার মধ্যে-
৫৪.৮ শতাংশ কর্মীই বেতন অত্যন্ত কম বাড়ার জন্য চাকরি বদল করতে চান।
৪১.৪ শতাংশ কর্মী কর্ম ও ব্য়ক্তিগত জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারছেন না বলে চাকরি বদল করতে চান।
৩৩.৩ শতাংশ কর্মী জানিয়েছেন, কর্মক্ষেত্রে উন্নতির বিশেষ সুযোগ না থাকায় চাকরি বদল করতে চান তারা।
২৮.১ শতাংশ কর্মীরা জানিয়েছেন, অফিসে তাদের কাজের যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া হয় না।
চাকরি ছাড়তে চান, এমন ১০ জনের মধ্যে ১ জন নিজের উদ্যোগে কোনও কাজ বা ব্যবসা শুরু করতে চান। মূলত ৩০ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ব্য়ক্তিরাই চাকরি ছেড়ে নিজস্ব ব্যবসা শুরুর আগ্রহ দেখিয়েছেন।