৭ হাজার কিলোমিটারের High Speed Corridor, ৩২০ কিমি গতিবেগে চলবে Vande Bharat?
High Speed Rail Corridor: নতুন এই করিডরগুলো শুধুমাত্র যাত্রীবাহী ট্রেনের জন্যই তৈরি করা হবে। নতুন এই ট্র্যাকে যাতে ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার থেকে ৩৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ট্রেন চলে, সেই ব্যবস্থাও করা হবে। আর নতুন এই প্রজেক্ট সম্পূর্ণ দেশীয় নকশা, দেশীয় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর নির্ভর করে তৈরি করা হবে।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশে বাড়ছে গণপরিবহণের চাহিদা। আর সেই চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রেল পরিষেবা আরও বিস্তৃত করছে ভারতীয় রেল। রেলমন্ত্রী ইতিমধ্যেই সেই পরিষেবা সম্পর্কে একাধিক তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ২০ বছরের মধ্যে গোটা দেশে প্রায় ৭ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এই হাই স্পিড করিডর তৈরি করা হবে। আর এই প্রকল্পের অধীনে দেশের একাধিক অর্থনৈতিক কেন্দ্র ও বড় শহরগুলোকে একে অপরের সঙ্গে যংযুক্ত করা হবে।
নতুন এই করিডরগুলো শুধুমাত্র যাত্রীবাহী ট্রেনের জন্যই তৈরি করা হবে। নতুন এই ট্র্যাকে যাতে ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার থেকে ৩৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ট্রেন চলে, সেই ব্যবস্থাও করা হবে। আর নতুন এই প্রজেক্ট সম্পূর্ণ দেশীয় নকশা, দেশীয় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর নির্ভর করে তৈরি করা হবে। যা আসলে ‘আত্মনির্ভর ভারতের’ একটি প্রতীকস্বরূপ হবে ও দেশীয় শিল্পকে দারুণ সুযোগ তৈরি করে দেবে।
অশ্বিনী বৈষ্ণব অবশ্য এই ক্ষেত্রে ৩টি বিষয়ের উপর খুবই গুরুত্ব দিয়েছে। তিনি নতুন এই করিডরে যাত্রীদের আরাম, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কথা বলেছেন। একই সঙ্গে পরিষেবা ব্যাপারটাও নিশ্চিত করার কথা বলেছেন তিনি। তাঁর কথা থেকে এক প্রকার স্পষ্ট এই হাই স্পিড ট্রেন কিন্তু বুলেট ট্রেন নয়। তিনি ভারতে তৈরি বন্দে ভারত ট্রেনের কথাই বলেছেন। এ ছাড়াও ভারতে তৈরি এই ট্রেন যাতে বিশ্বের বাজারেও বিভিন্ন দেশ সাদরে গ্রহণ করে, সেই বিষয়েও তিনি কথা বলেন। তিনি বলছেন, যারা নিম্নমানের উপরকরণ সরবরাহ করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
রেলমন্ত্রী এখানে একটি উচ্চাকাঙ্খী ঘোষণাও করেছেন। তিনি বলেছেন, আগামী ১৮ মাসের মধ্যে দেশে বন্দে ভারত ৪.০ চালু হবে। সেই ট্রেনে উন্নত শৌচাগার, সহ একাধিক দুর্দান্ত ফিচার থাকবে। যা যাত্রীদের আরও বিলাসবহুল ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দেবে। কিন্তু হাইড্রোজেন ট্রেন বা এই হাই স্পিড ট্রেনের প্রযুক্তি কি রয়েছে আমাদের দেশের? এই প্রজেক্টের কোনও প্রযুক্তিই বাইরের কোনও দেশ থেকে আমদানি করবে না ভারত, চাইছেন বৈষ্ণব।
এ ছাড়াও নতুন এই করিডোরে থাকবে উন্নত মানের সিগন্যালিং সিস্টেম ও অত্যাধুনিক অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টার। ভারতের প্রায় সব মেট্রো সিস্টেমেই অত্যাধুনিক সিগন্যালিং সিস্টেম রয়েছে। সেই সিস্টেমের অধীনে একেবারে চালকহীন ট্রেনও চালানো সম্ভব। আর এবার হয়তো ভারতীয় রেলও সেই একই পথে হাঁটতে চলেছে। এর ফলে, দুই ট্রেনের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কমবে ও নিরাপত্তার দিকটিও সুনিশ্চিত হবে।
