নয়া দিল্লি: প্রকাশিত আদানি গ্রুপের রিপোর্ট কার্ড। শিল্পপতি গৌতম আদানি সম্প্রতিই নানা সমস্যা-বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছেন। তারপরও তাঁর কোম্পানিগুলি রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ে চলেছে। ব্যাপকভাবে বাড়ছে কোম্পানিগুলোর আয়। কোম্পানিগুলোর ঋণের অবস্থাও স্বাস্থ্যকর। সম্প্রতি কোম্পানির রিপোর্ট কার্ড, যেখানে সংস্থার পারফরম্যান্সের হিসাব করা হয়েছে, সেখানেই এই তথ্য উঠে এসেছে।
ইতিমধ্যেই আদানি গ্রুপের কোম্পানি আদানি পাওয়ার বড় রেকর্ড তৈরি করেছে। বৈশ্বিক বৈদ্যুতিক ইউটিলিটি কোম্পানিগুলির মধ্যে শীর্ষস্থানীয় স্থান অর্জন করেছে। আদানি গ্রুপ সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে শুরু করে বায়ু শক্তি, বন্দর ব্যবস্থাপনা, বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা, সিমেন্ট, রাস্তা এবং অন্যান্য পরিকাঠামো খাতে কাজ করে। আদানি গ্রুপ চলতি অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫)-র প্রথমার্ধের (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) করের আগে আয় (EBITDA) ডেটা প্রকাশ করেছে।
আদানি গ্রুপের পোর্টফোলিওতে অন্তর্ভুক্ত সংস্থাগুলির তথ্য অনুসারে, ইউটিলিটি ব্যবসা এপ্রিল-সেপ্টেম্বর ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের তুলনায় ১২.১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউটিলিটি ব্যবসার মধ্যে রয়েছে আদানি পাওয়ার, আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি টোটাল গ্যাস এবং আদানি এনার্জি সলিউশন। এই সকল সংস্থার EBITDA হয়েছে ২২,৪৭৭ কোটি টাকা।
একইভাবে, গ্রুপের পরিবহন ব্যবসা ১৯.৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এর EBITDA হয়েছে ৯,৯৩৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে আদানি বন্দর এবং এসইজেডের ব্যবসা অন্তর্ভুক্ত। আদানি গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের পরিকাঠামো এবং সিমেন্টের EBITDA ছিল ৪১,৫১২ কোটি টাকা। এই সেগমেন্টেও কোম্পানির বৃদ্ধি হয়েছে ১.০১ শতাংশ।
আদানি গ্রুপ বলেছে যে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে আয় ২৮.৫ শতাংশ বেড়ে ৫৮,৯০৮ কোটি টাকা হয়েছে। একই সময়ে, গ্রুপের মোট সম্পদ ৭৫,২৭৭ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৫.৫৩ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে।
ঋণ এবং লিকুইডিটিতে, আদানি পোর্টফোলিও কোম্পানিগুলির কাছে পর্যাপ্ত নগদ রয়েছে, যা পরবর্তী ১২ মাসের জন্য সমস্ত ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারে।