AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tata Group Fighting: আবার টাটা বনাম মিস্ত্রি লড়াই! ভেঙে খান খান হয়ে যাবে রতন টাটার স্বপ্নের সংস্থা?

Tata Vs Mistry: মেহলি মিস্ত্রির পুনর্নিয়োগ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন নোয়েল টাটা, বেণু শ্রীনীবাসন ও বিজয় সিং। অন্যদিকে, সিটিব্য়াঙ্ক ইন্ডিয়ার প্রাক্তন সিইও প্রমীত জাভেরি, মুম্বইয়ের আইনজীবী দারিয়াস খাম্বাটা ও  জাহাঙ্গির এইচ.সি জাহাঙ্গির আবার মেহলি মিস্ত্রির পুনর্নিয়োগের সপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

Tata Group Fighting: আবার টাটা বনাম মিস্ত্রি লড়াই! ভেঙে খান খান হয়ে যাবে রতন টাটার স্বপ্নের সংস্থা?
টাটা গ্রুপে ভাঙন?Image Credit: TV9 বাংলা
| Updated on: Oct 29, 2025 | 3:18 PM
Share

মুম্বই: কেন্দ্রের হস্তক্ষেপেও বিশেষ লাভ হচ্ছে না। টাটা গ্রুপে দ্বন্দ্ব ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ফাটল জোড়া লাগার বদলে আরও চওড়া হচ্ছে। এক সময়ে যেভাবে রতন টাটা বনাম সাইরাস মিস্ত্রির দ্বন্দ্ব দেখেছিল গোটা ভারত, সেই দ্বন্দ্বই আবার যেন ফিরে এল। এবারও লড়াই টাটা বনাম মিস্ত্রির। ২০১৬ সালে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদ থেকে সাইরাসকে সরিয়ে দিয়েছিলেন রতন টাটা। সেই ঘটনারই কি পুনরাবৃত্তি হবে আবার?

জানা গিয়েছে, মেহলি মিস্ত্রিকে টাটা ট্রাস্টি বোর্ডে নিয়োগ নিয়েই যত আপত্তি। টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নোয়েল টাটা, ভাইস চেয়ারম্যান বেণু শ্রীনীবাসন ও বিজয় সিং টাটা ট্রাস্ট বোর্ডে স্থায়ী সদস্য হিসাবে মেহলি মিস্ত্রির পুনর্নিয়োগ নিয়েই তীব্র আপত্তি তুলেছেন।

এই সিদ্ধান্ত নিয়েই টাটা গ্রুপের অন্দরে বিরাট শোরগোল পড়ে গিয়েছে। টাটা সন্সের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তা নিয়েও টানাপোড়েন শুরু হবে। সূত্রের খবর, সাইরাস মিস্ত্রির মতো মেহলি মিস্ত্রিও টাটা ট্রাস্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করবেন আদালতে।

জানা গিয়েছে, মেহলি মিস্ত্রির পুনর্নিয়োগ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন নোয়েল টাটা, বেণু শ্রীনীবাসন ও বিজয় সিং। অন্যদিকে, সিটিব্য়াঙ্ক ইন্ডিয়ার প্রাক্তন সিইও প্রমীত জাভেরি, মুম্বইয়ের আইনজীবী দারিয়াস খাম্বাটা ও  জাহাঙ্গির এইচ.সি জাহাঙ্গির আবার মেহলি মিস্ত্রির পুনর্নিয়োগের সপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

গত সপ্তাহেই শ্রীনিবাসনকে চিরস্থায়ী ট্রাস্টি হিসাবে নিয়োগ করা হয়। সেই সময় মেহলি মিস্ত্রির পক্ষে থাকা চারজন ট্রাস্টি বলেন যে এটা শুধুমাত্র পদ্ধতিগত একটা আনুষ্ঠানিকতা ছিল। ট্রাস্টের নিয়ম অনুযায়ী, ট্রাস্টে নিয়োগ ও কাউকে সরানোর ক্ষেত্রে সর্বসম্মতির প্রয়োজন পড়ে। তাদের কথায় এটাই স্পষ্ট হয় যে নিজেদের পদ ধরে রাখতেই শ্রীনিবাসনের নিয়োগের সপক্ষে ভোট দিয়েছেন তারা।

রতন টাটার প্রয়াণের পর তাঁর সৎ ভাই নোয়েল টাটা দায়িত্ব নেন টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হিসাবে। তবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই তাঁকে নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। এবার মেহলি মিস্ত্রি আইনি পথে হাঁটার পরিকল্পনা করায় সেই চিন্তা আরও বাড়ল।

২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর স্যর রতন টাটা ট্রাস্ট ও স্যর দোরাবজি টাটা ট্রাস্ট যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে ট্রাস্টের সকল সদস্য়রা স্থায়ী সদস্য হবেন। শোনা যাচ্ছে, মেহলি মিস্ত্রি এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। যদি এই বিরোধ এভাবেই বাড়তে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে টাটা ট্রাস্ট কোনও সিদ্ধান্তে কীভাবে পৌঁছবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

প্রসঙ্গত, মেহলি মিস্ত্রি ২০২২ সালে টাটা ট্রাস্টের সদস্য হিসাবে যোগ দেন। তিনি রতন টাটার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ছিলেন। তিনি আবার সাপুরজি-পালোনজি পরিবারেরও ঘনিষ্ঠ।  তাঁর অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই সংস্থার কর্মদক্ষতা বাড়াতে মিস্ত্রিকে নিয়োগ করা হয়েছিল।