নয়াদিল্লি: হেঁশেলে গ্যাস সিলিন্ডার (LPG Cylinder) ছাড়া একটা দিনও কল্পনা করা যায় না। হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডার খালি হয়ে গেলে বা বুকিং সময় মতো না করা হলে, কিংবা যদি সিলিন্ডারের ডেলিভারি সময় মতো না আসে, তাহলে চিন্তার শেষ থাকে না। এদিকে রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে দুর্ঘটনার খবরও মাঝে মধ্যেই পাওয়া যায়। কিন্তু জানেন কি এই গ্যাস সিলিন্ডারেরও ইন্সুরেন্স (LPG Cylinder Insurance) হয়? যদি আপনার পরিচিত কারও বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে কোনও অঘটন হয়, তাহলে কী করণীয়? জানেন? এই দুর্ঘটনার জন্য আপনি কি কোনও ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন? এলপিজি পরিষেবা যে সংস্থা দিচ্ছে, তারা কি কোনও ক্ষতিপূরণ দেবে? জেনে রাখুন, যখনই আপনি কোনও এলপিজি কানেকশন নিচ্ছেন, তখনই একইসঙ্গে আপনি বিমার সুবিধাও পান। এটিকে বলা হয় এলপিজি বিমা পলিসি।
আজকাল যেভাবে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে দুর্ঘটনার খবর আসে, তাতে প্রত্যেক গ্রাহকেরই এই বিষয়ে জেনে রাখা দরকার। গ্রাহকদের জেনে রাখা দরকার, তারা কোন বিমার সুবিধা পাবেন। ইন্ডিয়ান অয়েল, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম, ভারত পেট্রোলিয়ামের মতো সংস্থাগুলি OMC-র মাধ্যমে সিলিন্ডার দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ করে। এর জন্য, যখন কোনও গ্রাহক সিলিন্ডারের জব্য রেজিস্টার করবেন, তখনই বিমা করে নেওয়া দরকার।
গ্যাস সিলিন্ডার থেকে যখন কোনও দুর্ঘটনা ঘটে, সেক্ষেত্রে সরকার থেরে ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত দুর্ঘটনা কভার পাওয়া যায়। তবে পেট্রোলিয়াম কোম্পানিগুলিও আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে ব্যক্তিগত বিমা কভার দেয়। এই বিমার জন্য পেট্রোলিয়াম সংস্থাগুলির বিমা সংস্থাগুলির সঙ্গে পার্টনারশিপ থাকে।
এলপিজি বিমা কভারে, কোনও গ্রাহক ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিমা পেতে পারেন। গ্যাস সিলিন্ডার সম্পর্কিত কোনও দুর্ঘটনার জন্য ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত কভারেজ পাওয়া যায়। যদি দুর্ঘটনায় কেউ মারা যান, সেক্ষেত্রে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত কভারেজ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে যাঁর নামে সিলিন্ডারটি রয়েছে, কেবল তিনিই এই বিমার সুবিধা পাবেন।
আপনি যদি গ্যাস সিলিন্ডারের জন্য কোনও বিমা করাতে চান, তাহলে আপনি সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে এই সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন। ওয়েবসাইটটি হল – https://www.mylpg.in/docs/Public_Liability_Insurance_policies_for_accidents_involvin_LPG.pdf
গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে গ্রাহককে নিজের ডিস্ট্রিবিউটর ও নিকটবর্তী থানায় বিষয়টি জানাতে হবে। একটি এফআইআর-এর কপিও রাখতে হবে সঙ্গে। মৃত্যুর ক্ষেত্রে এফআইআর-এর কপি, মেডিকেল বিল, হাসপাতালের বিল, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এবং ডেথ সার্টিফিকেটও দিতে হবে। এর পরেই গ্রাহকরা সংশ্লিষ্ট কোম্পানির থেকে ক্ষতিপূরণ পাবেন।