Artificial Intelligence: ১০ কোটি চাকরি খাবে AI, আপনার চাকরি সুরক্ষিত তো? কারা বাঁচবেন এই আগ্রাসন থেকে!
AI: এআই ব্যবহারের ফলে অনেক মানুষ যেমন চাকরি হারাতে পারেন, তেমনই বাড়ছে নতুন চাকরি তৈরির সম্ভাবনাও। তথ্য বলছে, বর্তমান কর্মসংস্থানের ১৪ শতাংশ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে আগামীতে।

আগামীতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সামনে মানুষের চাকরি কি আদৌ থাকবে? এই চিন্তায় ঘুম উড়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রের চাকরিজীবীদের। কারণ, ইতিমধ্যেই অনেক সংস্থা কর্মী সংকোচনের মাধ্যমে খরচ কমাচ্ছে ও কৃত্রিম বুদ্ধমত্তার ব্যবহার করে সেই কর্মী সঙ্কট মিটিয়ে ফেলছে। আর সেই কারণেই এমন আশঙ্কা ছড়িয়েছে দেশের সাধারণ চাকরিজীবীদের মধ্যে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের একটি প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, অর্থনীতির পরিবর্তন ও বিভিন্ন দেশে জনসংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধির ফলেই বিশ্বব্যাপী শ্রমের বাজার দ্রুত বদলে যাচ্ছে। আর সেই কারণেই আগামীতে একটা বড় বদল আসতে পারে। আর এই সমীক্ষা বলছে, নতুন এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর প্রযুক্তিতে কাজ কমবে না, বদলে কাজ করা সহজ হয়ে উঠবে।
আবার এআই ব্যবহারের ফলে অনেক মানুষ যেমন চাকরি হারাতে পারেন, তেমনই বাড়ছে নতুন চাকরি তৈরির সম্ভাবনাও। তথ্য বলছে, বর্তমান কর্মসংস্থানের ১৪ শতাংশ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে আগামীতে। আর এই কারণে ২০২৫ সালে প্রায় ৯ কোটি চাকরি চলে যেতে যেমন পারে, তেমনই প্রায় সাড়ে ৭ কোটি নতুন চাকরিও তৈরি হবে।
এআই আসার ফলে, বর্তমানের অনেক চাকরি যেমন আগামীতে আর থাকবে না, তেমনই অনেক নতুন চাকরিও তৈরি হবে। আবার অনেক নিরাপদ চকরিও রয়েছে, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোনও ধরণের প্রভাব ফেলতে পারবে না।
তবে, এমন কিছু চাকরি রয়েছে যার চাহিদা বাড়ছে হু হু করে। যেমন, বিগডেটা বিশেষজ্ঞ, ফিনটেক ইঞ্জিনিয়ার, এআই ও মেশিন লার্নিং বিশেষজ্ঞ। যদিও যাঁরা প্রাথমিক স্তরে রয়েছেন, কোপ পড়তে পারে তাঁদের উপরই। আবার কন্টেন্ট রাইটার বা এমন কাজ যা নিয়মমাফিক একই ভাবে করে যেতে হয়, সেই কাজের দখল নিয়ে নেবে এআই। বর্তমানে, অনেক সংবাদমাধ্যমও এআই নির্ভর হতে চলেছে।
গ্রাফিক ডিজাইন ও ভিস্যুয়াল আর্ট সম্পর্কিত কাজও খেয়ে ফেলতে পারে এআই। তবে, এআই শ্রমিকের মতো কাজ করে, কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কখনও কোনও কাজের শিল্পগুণকে টেক্কা দিতে পারবে না। এ ছাড়াও বিমা ক্ষেত্রের কিছু কাজ, কোনও কিছু উৎপাদন সংক্রান্ত কাজ, কাস্টমার সার্ভিস, ডেটা এন্ট্রির কাজ খেয়ে নেবে এআই।
তবে, যে সব মানুষ খুব দ্রুত কিছু শিখে নিতে পারেন বা কোনও কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন তাঁদের জন্য কাজের অভাব হবে না। এ ছাড়াও এমন কিছু কাজ রয়েছে যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তেই থাকবে। কৃষি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, মনোবিদ, চিকিৎসক, নার্স, বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কাজ, শিক্ষকতা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা বা লেখক ও কবিদের কাজ কেড়ে নিতে পারবে না এআই।
এ ছাড়াও গিগ ওয়ার্কার, নির্মাণ কর্মী, খুচরো দোকানদার, বিভিন্ন মিস্ত্রি পেশার মানুষদের কাজ কেড়ে নিতে পারবে না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ফলে, আগামীতে চাকরি চলে যাবে ভেবে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছুই এখনও হয়নি।
