Artificial Intelligence: ২০৩০ সালের মধ্যে কি অবলুপ্ত হবে সেক্টর ফাইভের চাকরি?
Artificial Intelligence: ২০২৭ সালের মধ্যেই চলে আসতে পারে AGI বা আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স। কলকাতার নিউ টাউন বা সল্টলেক সেক্টর ফাইভের মতো আইটি হাবগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হচ্ছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI নিয়ে এবার চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিলেন গবেষক রোমান ইয়াম্পোলস্কি। তাঁর মতে, ২০২৭ সালের মধ্যেই চলে আসতে পারে AGI বা আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স। যা মানুষের মতোই চিন্তাভাবনা করতে সক্ষম। আর তার ফলে, ২০৩০ সালের মধ্যে গোটা বিশ্বে ৯৯ শতাংশ মানুষ চাকরি হারাতে পারেন।
সম্প্রতি একটি পডকাস্টে তিনি এই উদ্বেগজনক ভবিষ্যতের কথা তুলে ধরেন। তাঁর মতে, অটোমেশনের প্রথম ধাক্কাটি আসবে কম্পিউটার-ভিত্তিক কাজগুলিতে। অর্থাৎ, তাঁর বক্তব্যে কলকাতার নিউ টাউন বা সল্টলেক সেক্টর ফাইভের মতো আইটি হাবগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হচ্ছে। এর প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যেই হিউম্যানয়েড রোবট এসে রাজমিস্ত্রি বা কলের মিস্ত্রির মতো শারীরিক পরিশ্রমের কাজগুলোও দখল করে নিতে পারে।
ইয়াম্পোলস্কি বলেন, “মানুষ এই বিপদটা বুঝতেই পারছে না। আমি উবার চালককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আমার মতো গাড়ি কেউ চালাতে পারবে না।’ অধ্যাপকরাও একই কথা ভাবেন। কিন্তু এটা ঠিক নয়।” তাঁর মতে, শুধুমাত্র সেইসব কাজই টিকে থাকবে, যেখানে মানুষ বিশেষভাবে মানুষের স্পর্শ বা উপস্থিতি চাইবে।
তবে আসল সমস্যাটা অর্থনৈতিক নয়, মানসিক। ইয়াম্পোলস্কি মনে করেন, AI-এর দৌলতে হয়তো Universal Basic Income-এর মতো ব্যবস্থার মাধ্যমে সকলের কাছে বিনামূল্যে সম্পদ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। কিন্তু এমন হলে মানুষ তাদের অবসরের অফুরন্ত সময় নিয়ে কী করবে? এর উত্তর কিন্তু নেই কারও কাছে।
কাজ অনেকের কাছে শুধু বেতনের উৎস নয়, আত্মপরিচয়েরও ভিত্তি। আর সেই ভিত্তিটাই যদি নড়ে যায়, তাহলে বহু মানুষ নিজেদের হারিয়ে ফেলবেন। তাই আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ শুধু নতুন প্রযুক্তি শেখা নয়। কাজের বাইরে বেরিয়ে জীবনের এক নতুন অর্থ খুঁজে বের করাই হয়তো আগামী দিনে মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
