নয়া দিল্লি: মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতির ঠেলায় নাস্তানাবুদ গৃহস্থরা। একে একে দাম বাড়ছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যগুলির। তবে এবার গৃহস্থের পকেটে বড়সড় চাপ সৃষ্টি হতে চলেছে। বাংলাদেশের এক সিদ্ধান্তের কারণে দেশে একধাক্কায় অনেকটাই বাড়তে চলেছে চালের দাম। জানা গিয়েছে, দেশ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম কমপক্ষে ১০ শতাংশ বাড়তে চলেছে।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ আমদানি শুল্ক ও দাম ৬২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে দেওয়ায় ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও কার্যত বাধ্য হয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য করতে। চাল রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, বিগত পাঁচ দিনে বাসমতি চাল ছাড়া ভারতে উৎপাদিত বাকি চালের দাম প্রতি টন ৩৫০ ডলার থেকে বেড়ে ৩৬০ ডলারে বেড়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের আমদানি শুল্ক কমানোর পরই দামবৃদ্ধি হয়েছে।
গত সপ্তাহের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৩১ অক্টোবর অবধি ভারত বাংলাদেশে চাল রফতানি করতে পারবে। এই প্রথম বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে চাল আমদানি করছে। মূল্যবৃদ্ধি ও উৎপাদন সঙ্কটের কারণে যেভাবে ভারত গমের রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, সেভাবেই যদি চালের রফতানির উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, তবে চরম সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে বাংলাদেশ। সেই কারণেই ভারতের কাছ থেকে বাসমতি বাদ দিয়ে অন্যান্য চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই বিশ্ববাজারে খাদ্যসঙ্কট দেখা গিয়েছে। এর উপরে ভারত গমের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় সঙ্কট আরও প্রকট হয়েছে। চিনির রফতানির উপরও রাশ টানা হয়েছে।
দেশ ও বিশ্ব বাজারে চালের দাম বাড়ায়,একাধিক রাজ্যেও চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ ও বিহারে চালের দাম প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও ১০ শতাংশের আশেপাশে বৃদ্ধি পেয়েছে।